বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সরবরাহকারীরা বাজারে পণ্য কম দিচ্ছে। কিন্তু আমদানি ও বাজারজাতকারীদের মিল থেকে প্রতিদিন কী পরিমাণ পণ্য বাজারে সরবরাহ করা হয় সেই তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসে। সেই তথ্য অনুসারে বাজারের পণ্যের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এরপরও বাজারে কেন অস্থিরতা তৈরি হয় তা বুঝে আসছে না।’
সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমদানিকারকদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। এরপরও কোনো বাজারে যদি অস্থিরতা তৈরি হয়, তাহলে বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই, ব্যবস্থাপনার ঘাটতি আছে। আমাদের ওপর চাপ আছে, বলা হচ্ছে–আমরা রিফাইনারি বা মিল পর্যায়ে অভিযানে যাচ্ছি না। সরকার নির্ধারিত দামের যদি ব্যতয় হয়, তাহলে এবার সেই পর্যায়ে যাবে ভোক্তা অধিদপ্তর। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘পণ্যমূল্য এবং সংকট নিয়ে পাইকারি, খুচরা ও আমদানিকারক একে অপরকে দুষছেন। আসলে সমস্যা কোথায় তা খুঁজে বের করব।’ তিনি জানান, প্যাকেটজাত করতে গেলে ভোক্তা নয়, ব্যবসায়ীদের থেকেই প্রথম বাঁধা আসে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রমজান আসলে ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই ভয়ে থাকে পণ্যের দাম ও সরবরাহ নিয়ে। কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়, কিন্তু এর দায় নিতে হয় পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে।’ তবে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে অবশ্যই দাম বাড়বে না বলে মনে করেন তিনি।