সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত ‘রাজধানীর টেকসই পরিকল্পনায় মেট্রোরেল : প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পরামর্শ দেওয়া হয় ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন গবেষণা এবং নীতি বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)
অনুষ্ঠানে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার কোটি ট্রিপ তৈরি হয়। দ্রুতগতিতে ট্রিপ সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে মেট্রো চালু করা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় মেট্রোরেলের প্রভাব পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, যখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে। তবে মেট্রোরেলের ভাড়া যাতে সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে জোর দেন তিনি। কারণ, ভাড়া বেশি হলে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী পাওয়া যাবে না।
আইপিডির পক্ষ থেকে আদিল মুহাম্মদ খান ভাড়া কমানো ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণ, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভাড়া মওকুফ করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া মেট্রোস্টেশনে বহু মাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা এবং স্টেশনের আশপাশে পথচারীদের প্রাধান্য দিয়ে হাঁটার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার প্রতি জোর দেন।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল চালু হচ্ছে আর একদিন পরই, অর্থাৎ বুধবার। শুরুতে মেট্রোরেল চলবে দিনে ৪ ঘণ্টা সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলার সময় ট্রেনগুলো মাঝপথে কোথাও থামবে না।
অনুষ্ঠানে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি) প্রকল্পের পরামর্শক আফসানা হক বলেন, ঢাকার ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। গণপরিবহনের মধ্যে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে আড়াই টাকার মতো, কিন্তু মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। তাই স্বল্প দূরত্বে যারা যাতায়াত করবেন, তারা মেট্রো ব্যবহারে উৎসাহিত নাও হতে পারেন।