- মূলত তিনটি কারণে হাঁটুর ব্যথা বেশি হয়ে থাকে।
সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : আঘাতজনিত, ক্ষয়জনিত এবং বাতজনিত। আঘাতজনিত ব্যথা খেলাধুলার ইনজুরি বা কোনো দুর্ঘটনায় লিগামেন্টের আঘাত থেকে হাঁটু বা জয়েন্টে ব্যথা হতে থাকে। আবার হাঁটুর জয়েন্টের কাছে কারটিলিস নামের যে নরম হাড় থাকে, সেখানে ক্ষয় দেখা দিলে হাঁটুর ব্যথা হয়।
শীত প্রায় চলে এসেছে। শীত এলেই শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে শীতে ঠান্ডা বাড়তেই অস্থিসন্ধির ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন অনেকেই। বিশেষত, যাঁদের হাঁটুতে আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা আছে, তাঁদের যন্ত্রণা আরও বেশি।
“নিয়ম করে শরীর চর্চা করুন”
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। হাঁটুর ব্যথা কমে। বয়সের ভারে যদি ভারী কাজ করতে অসুবিধা হয়, তবে হালকা জগিং কিংবা হাঁটাহাঁটিতেও অনেকটা ভাল থাকে শরীর।
“ফিজিয়োথেরাপি”
অনেকেই এখন হাঁটুর ব্যথা সারাতে ফিজিয়োথেরাপির সহায়তা নিচ্ছেন। এই পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। বিভিন্ন ধরনের তেল মালিশ কিংবা চিনা চিকিৎসা পদ্ধতি অ্যাকুপাংচারও করান অনেকে। তবে যেকোনো চিকিৎসা শুরু করার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া আবশ্যিক।
হাঁটু ব্যথার অন্যতম একটি কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন। শরীরের অত্যধিক ওজন হাঁটুর উপর চাপ ফেলে। তাই হাঁটু ভাল রাখতে এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে ওজন কমানো জরুরি।
“ঘরোয়া পদ্ধতি”
ব্যথার স্থানে মধুর ও ভিনেগার মিশিয়ে মাখালে ব্যথা কমতে পারে। পাশাপাশি, নিয়ম করে খেজুর, কালো জিরে, অলিভ অয়েলের মতো জিনিস খেলেও কমতে পারে ব্যথা। প্রতিদিন ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগান। ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে আদার রস। আদা কুচি চিবিয়ে খান, আদা চা খেলেও উপকার পেতে পারেন।
খাদ্য তালিকায় যেন ভিটামিন সি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে থাকে। সামুদ্রিক মাছ, টুনা মাছ, বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড খেতে পারেন। সয়াবিনেও প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তবে হাঁটুর ব্যথা খুব বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই