সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার নথিপত্র গায়েবের ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
আধুনিক পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছিল রাজউক। সংস্থাটির ওয়েবসাইটেও সব গ্রাহকের ভবনের তথ্য সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছিলেন, তাদের নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনুমোদনসংক্রান্ত নথির সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
গ্রাহকদের অভিযোগ, গত ৬ ডিসেম্বর হঠাৎ রাজউকের ওয়েবসাইট অকার্যকর হয়ে যায়। এ ঘটনা কারিগরি ত্রুটি নাকি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, সে বিষয়ে জানতে রাজউকের কোনো আগ্রহ নেই! অথচ এখন নতুন করে আবার আবেদন করতে গেলে দুর্নীতি, হয়রানির শিকার হতে হবে।
রাজউক এখনও জানাতে পারেনি কেন ওয়েবসাইটটি অকার্যকর হয়েছিল এবং কেন নথিগুলো গায়েব হলো। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, এতসংখ্যক আবেদন কীভাবে গায়েব হলো তা নিয়ে এখনো তারা অন্ধকারে রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এসব নথি পাওয়া না গেলে গ্রাহকরা নানা রকম ভোগান্তির শিকার হতে পারেন। তাই হারিয়ে যাওয়া সব নথি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।