আব্দুল কাদের নাহিদঃ রাজশাহীর বাঘায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হত দরিদ্র ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলী। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ভ্যান চালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালের বেড থেকে সটকে পড়েছে আহত মোটরসাইকেল চালক। শুক্রবার (৬জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌণে ৬টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আহত ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলী। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ড থেকে সটকে পড়েন আহত মোটরসাইকেল চালক রিমন আলী।
জানা যায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বানিয়া পাড়ার আমতলা মোড়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ৬৫ বছর বয়সের দরিদ্র ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলীসহ মোটরসাইকেল চালক রিমন আলী ও মোটরসাইকেল আরোহী শাওন আলী। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলীকে জরুরি বিভাগে আনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শাওন আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিমন আলীকে ভর্তি রাখা হয়।
বানিয়াপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী জানান, হত দরিদ্্র পরিবারটিতে একমাত্র উপার্যনক্ষম ব্যাক্তি ছিলেন তিনি। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অন্যে বাসার গৃহকর্মীর কাজ করে দু জন মিলে সংসার চালাতেন।
নিহত ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলী বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত কছের আলী প্রামানিকের ছেলে। আহত হয়েছে মোটরসাইকেল চালক রিমন আলী (১৮) দক্ষিন মিলিকবাঘা গ্রামের মহিবুর রহমানের ছেলে ও মোটরসাইকেল আরোহী শাওন আলী(১৮) নারায়নপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ টিপু সুলতান ও লালল উদ্দিন হোসেন জানান, ফরাজিপাড়া গ্রাম থেকে ভ্যান নিয়ে মেইন সড়কে উঠার সময় পশ্চিম দিক থেকে পুর্বের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বুকে ও কোমরে আঘাতসহ তার হাটুর নীচের হাড় ভেঙে যায়। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোহাম্মদ আলী। শুক্রবার রাত ৮টায় বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ড গিয়ে আহত মোটরসাইকেল চালক রিমন আলীকে বেডে পাওয়া যায়নি। পাশের বেডের সাদেক আলী নামের একজন জানান,কিছুক্ষন আগে সে ও তার মা চলে গেছে।
বাঘা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান(২) জানান,মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।