ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি
শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের অধিকার আন্দোলনের প্রেরণা।

আগামীকাল ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস 

  • আরিফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
  • আগামীকাল ২০ জানুয়ারি শুক্রবার শহীদ আসাদ দিবস 

আরিফ হোসেন (সম্পাদকীয়):  আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান একজন শহীদ ছাত্রনেতা

জন্ম : ১০ জুন ১৯৪২ ☆ মৃত‍্যু: ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল।

১৯৬৯ সালে  ১০ জানুয়ারি আইয়ুব খানের  পতনের দাবীতে মিছিল করার সময়  তিনি পুলিশের  গুলিতে নিহত হন। তবে তিনি সর্বসমক্ষে শহীদ আসাদ নামেই অধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। শহীদ আসাদ হচ্ছেন  ১৯৬৯ সালে গন – আন্দোলনে পথিকৃৎ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন,অন্য দু’জন হচ্ছেন  শহীদ রুশ্তম ও শহীদ মতিউর  স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান।

শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের অধিকার আন্দোলনের প্রেরণা। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।

দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।


শহিদ আসাদ দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এভাবে আরো অনেক প্রাণ ঝরে যায় এবং অনেকে আহত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয় দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি। ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে।’


কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারা বাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।

স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পাকিস্তানি স্বৈরসরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের অধিকার আন্দোলনের প্রেরণা।

আগামীকাল ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস 

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • আগামীকাল ২০ জানুয়ারি শুক্রবার শহীদ আসাদ দিবস 

আরিফ হোসেন (সম্পাদকীয়):  আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান একজন শহীদ ছাত্রনেতা

জন্ম : ১০ জুন ১৯৪২ ☆ মৃত‍্যু: ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল।

১৯৬৯ সালে  ১০ জানুয়ারি আইয়ুব খানের  পতনের দাবীতে মিছিল করার সময়  তিনি পুলিশের  গুলিতে নিহত হন। তবে তিনি সর্বসমক্ষে শহীদ আসাদ নামেই অধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। শহীদ আসাদ হচ্ছেন  ১৯৬৯ সালে গন – আন্দোলনে পথিকৃৎ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন,অন্য দু’জন হচ্ছেন  শহীদ রুশ্তম ও শহীদ মতিউর  স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান।

শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের অধিকার আন্দোলনের প্রেরণা। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।

দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।


শহিদ আসাদ দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এভাবে আরো অনেক প্রাণ ঝরে যায় এবং অনেকে আহত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয় দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি। ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে।’


কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারা বাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।

স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পাকিস্তানি স্বৈরসরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।