এ জয়ের ফলে নবম আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইমরুল কায়েসের দল। তবে এখনই বাদ পড়ছে না মাশরাফী মোর্ত্তজার সিলেট। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারাতে পারলে তারাও টিকে থাকবে শিরোপার লড়াইয়ে।
সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।এদিন সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার নারিন। অন্য প্রান্তে লিটন দাস অবশ্য ছিলেন না নিজের চিরচেনা ছন্দে। টাইগার ব্যাটার ১০ বলে ৭ রান করে আউট হলেও ক্রিজ ছাড়ার আগে নারিন ১৮ বলে করেন ৩৯ রান। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও ৪ ছক্কায়। তাতে ৪.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান তুলে নেয় কুমিল্লা।
এরপর হঠাৎ তাদের রানের চাকা মন্থর হয়ে যায়। রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ বলে ৪ রান করা জনসন চার্লস। ইমরুল কায়েস আউট হন ১৫ বলে ১৩ রান করে। ইংলিশ ব্যাটার মঈন আলি ১৩ বলে ২১ রান করে শিকার হন রুবেল হোসেনের। ক্রিজে এসে কোনো রান তোলার আগেই বিদায় নেন জাকের আলি। তাকেও ফেরান রুবেল। ৬ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কুমিল্লা।
তবে ২৭ বলে ২৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক হোসেন। ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। কুমিল্লার পক্ষে ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে মাশরাফীদের ইনিংস থামে মাত্র ১২৫ রানে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাত্র ১৬ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে শফিকুল্লাহ ঘাফারি (৫), তৌহিদ হৃদয় (০) ও জাকির হাসানের (২) উইকেট। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গ দিতে হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে চতুর্থ উইকেটে মাঠে নামেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
ক্রিজে নেমেই কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হন সিলেট অধিনায়ক। তার সঙ্গে যোগ দেন শান্তও। ৬ ওভার ব্যাট করে দুজন মিলে দলকে এনে দেন ৫৬ রান। কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারে আন্দ্রে রাসেল এসে মোর্ত্তজাকে সাজঘরে ফেরালে ফের ছন্দপতন হয় সিলেটের। ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হন মাশরাফী। পরের ওভারেই বিদায় নেন ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করা শান্ত। তাতে ৪১২ রান করে তিনি বনে গেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
শান্তকে বোল্ড করার পরের বলেই তানভীর ইসলাম ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান ক্রিজে আসা রায়ান বার্লকে। ৭৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধস নামা ব্যাটিং লাইনআপের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডে। তাদের ৩৯ রানের জুটি ১৬তম ওভারে এসে ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম। তাকে ডিপ এক্সট্রা কাভার অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে জনসন চার্লসের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
মুশফিকের বিদায়ের পর আর কেউ ধরতে পারেননি সিলেটের হাল। শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানেই থামতে হয়েছে তাদের। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল