একই সঙ্গেইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীত হওয়া সড়কের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে মোনাজাতে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
এর আগে একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেয়। এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরের জুনে। প্রায় ৪ মাস আগেই কাজ শেষ হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ায় কয়েক কোটি মানুষের ব্যস্ত নগরীর মিরপুরের সঙ্গে বিমানবন্দর, উত্তরা, অন্যদিকে বাড্ডা, বনানী ও মহাখালীর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। ইসিবি চত্বর থেকে সরাসরি এ উড়ালপথ ধরে চলে যাওয়া যাবে পল্লবী কিংবা মিরপুরে। মিরপুর ১১, ১২, পল্লবী থেকে ইসিবি চত্বর যেতে আর কোথাও থামতে হবে না। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মিরপুর থেকে বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ফ্লাইওভারটি মিরপুরবাসীর জন্য একটি বড় পুরস্কার। সেখানে কোনো যানজট হবে না। ফ্লাইওভারের নিচে ফুটপাত ও সাইকেল লেন করা হয়েছে। দুটি ফুটওভার ব্রিজও করা হয়েছে।
ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে সমান তালে চলতে তৈরি হয়েছে সড়ক। ৩৭.২ মিটার প্রস্থ ও প্রায় চার কিলোমিটারের এ সড়ক চালুর কারণে যানজট অনেক কমে আসবে বলে জানান মেয়র আতিক।
মূল ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৩৩৫ মিটার। ৪৭৫ মিটারের র্যাম্প রয়েছে পাঁচটি। ৬৮টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এ উড়ালসড়কের গার্ডার সংখ্যা ১৭টি।
বিএনসিসি ও বাংলাদেশ আর্মি (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) ১ হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।