ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি
আমার ভায়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি 

  • আরিফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
আরিফ হোসেন : রাত পোহালেই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। মনের গহীনে রং-তুলির আঁচড়ে সেজে উঠেছে স্মৃতির শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি। 

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা অর্জিত তাদেরি বা কতটুকু শ্রদ্ধা আমরা করি। শুধু মাত্র একটি দিন নয়, তাঁরা আমাদের হৃদয় মন্দিরে থাকবে বছরের পর বছর। যুগের পর যুগ। রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত আরো নাম না জানা অনেক শহীদের রক্তে আমাদের আজকের প্রাণের বাংলা ভাষা। বাংলার আকাশে-বাতাসে তোমরা থাকবে আজীবন।

প্রতি বছর প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে শুরু হয় একুশ উদযাপন। এই দিনে খালি পায়ে শহিদ মিনারে শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একুশের গান, কবিতায় চারদিক ধ্বনিত হয় মাতৃভাষার মাহাত্ম্য। বাংলা একাডেমিতে ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আয়োজিত হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রদান করা হয় একুশে পদক। বিশ্বের দরবারে বাঙালি, বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির গৌরবগাঁথা পৌঁছে যায় একুশে ফেব্রুয়ারিতে। অমর হয়ে থাকবে তাই একুশের চেতনা।

 স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একুশের চেতনা ধারণ করার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। একুশের চেতনা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নতভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একুশের চেতনা অপরিহার্য। কেননা, সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তা ভিন্নরূপে আমাদেরকে নির্মাণ করবে, সংস্কৃতিকে নবআঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করবে।
আমরা রক্তের বিনিময়ে আমাদের মাতৃভাষা অর্জন করেছি। যে দেশের মানুষ মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারে সে দেশের জাতি বীরের জাতি। আমারা গর্ববোধ করি এ বাঙলায় জন্মে বাংলা ভাষায় কথা বলি। এটা আমাদের অহংকার।

রং-তুলির আঁচড়ে নান্দনিক সাজে প্রস্তুত শহীদ মিনার
রং-তুলির আঁচড়ে সেজে উঠেছে স্মৃতির মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি।


কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে ধোয়া-মোছার শেষ প্রস্তুতি। দিবসটির আগে শহীদ মিনার দেখতে আসা সাধারণ মানুষের দাবি, শুধু একটি দিন নয়, বছরজুড়ে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করা হোক।

রং-তুলির আঁচড়ে নান্দনিক সাজে সাজানো হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার আদায় করতে গিয়ে যারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত স্মৃতির মিনার। এরই মধ্যে মূল বেদিতে আলপনা আঁকাসহ শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে একুশের প্রথম প্রহর আসার আগেই নতুন সাজে সজ্জিত শহীদ মিনার দেখতে আসেন অনেকে।

শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে কেউ বেহালায় তুলছেন ভাষাকে নিয়ে রচিত গানের সুর। কেউ আবার মুহূর্তকে বন্দি করছেন মোবাইল ফোনে। শুধু নির্দিষ্ট দিনে নয়, সারা বছরই এই স্মৃতিস্মারক পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি তাদের।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

আমার ভায়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি 

আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
আরিফ হোসেন : রাত পোহালেই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। মনের গহীনে রং-তুলির আঁচড়ে সেজে উঠেছে স্মৃতির শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি। 

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা অর্জিত তাদেরি বা কতটুকু শ্রদ্ধা আমরা করি। শুধু মাত্র একটি দিন নয়, তাঁরা আমাদের হৃদয় মন্দিরে থাকবে বছরের পর বছর। যুগের পর যুগ। রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত আরো নাম না জানা অনেক শহীদের রক্তে আমাদের আজকের প্রাণের বাংলা ভাষা। বাংলার আকাশে-বাতাসে তোমরা থাকবে আজীবন।

প্রতি বছর প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে শুরু হয় একুশ উদযাপন। এই দিনে খালি পায়ে শহিদ মিনারে শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একুশের গান, কবিতায় চারদিক ধ্বনিত হয় মাতৃভাষার মাহাত্ম্য। বাংলা একাডেমিতে ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আয়োজিত হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রদান করা হয় একুশে পদক। বিশ্বের দরবারে বাঙালি, বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির গৌরবগাঁথা পৌঁছে যায় একুশে ফেব্রুয়ারিতে। অমর হয়ে থাকবে তাই একুশের চেতনা।

 স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একুশের চেতনা ধারণ করার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। একুশের চেতনা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নতভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একুশের চেতনা অপরিহার্য। কেননা, সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তা ভিন্নরূপে আমাদেরকে নির্মাণ করবে, সংস্কৃতিকে নবআঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করবে।
আমরা রক্তের বিনিময়ে আমাদের মাতৃভাষা অর্জন করেছি। যে দেশের মানুষ মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারে সে দেশের জাতি বীরের জাতি। আমারা গর্ববোধ করি এ বাঙলায় জন্মে বাংলা ভাষায় কথা বলি। এটা আমাদের অহংকার।

রং-তুলির আঁচড়ে নান্দনিক সাজে প্রস্তুত শহীদ মিনার
রং-তুলির আঁচড়ে সেজে উঠেছে স্মৃতির মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি।


কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে ধোয়া-মোছার শেষ প্রস্তুতি। দিবসটির আগে শহীদ মিনার দেখতে আসা সাধারণ মানুষের দাবি, শুধু একটি দিন নয়, বছরজুড়ে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করা হোক।

রং-তুলির আঁচড়ে নান্দনিক সাজে সাজানো হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার আদায় করতে গিয়ে যারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত স্মৃতির মিনার। এরই মধ্যে মূল বেদিতে আলপনা আঁকাসহ শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে একুশের প্রথম প্রহর আসার আগেই নতুন সাজে সজ্জিত শহীদ মিনার দেখতে আসেন অনেকে।

শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে কেউ বেহালায় তুলছেন ভাষাকে নিয়ে রচিত গানের সুর। কেউ আবার মুহূর্তকে বন্দি করছেন মোবাইল ফোনে। শুধু নির্দিষ্ট দিনে নয়, সারা বছরই এই স্মৃতিস্মারক পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি তাদের।