বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনের আগে স্কুল প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত ও শপথ বাক্য পাঠ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির সকল ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ১৪ বছর আগের রাজশাহী এবং এখন রাজশাহীর মধ্যে অনেক পার্থক্য। শহরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন উন্নয়নের আওতায়। শহরের প্রতিটি স্কুল-কলেজগুলোতে এখন নতুন নতুন আধুনিক ভবন। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষার জন্য যেমন পরিবেশ প্রয়োজন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহযোগিতায় আমরা সেটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

বাদশা আরো বলেন, এমপি হওয়ার আগে আমার স্বপ্ন ছিল- জনপ্রতিনিধি হতে পারলে ‘শিক্ষা নগরী’ হিসেবে খ্যাত রাজশাহীকে প্রকৃত শিক্ষা নগরীতে পরিণত করবো। আজকে তাকিয়ে দেখুন, প্রকৃত অর্থেই রাজশাহী নগরী এখন শিক্ষানগরীতে পরিণত হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে একটু পিছিয়ে আছি। আগামীতে রাজশাহীর মানুষ সুযোগ দিলে এই সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো।

বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল বাতেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রধান শিক্ষক তাজরুল ইসলাম। আরো বক্তব্য দেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন, সংরক্ষিত ১ আসনের নারী কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন মিলি, স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, শিক্ষাবিদ মনজুর হাসান মোর্শেদ চুন্না প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নাফিসা খাতুন। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় বিভিন্ন গুণিজনদের স্কুলের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অপরদিকে হামিদপুর নওদাপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনেও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নতুন ভবন উদ্বোধনের পর সেখানেও প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আলোচনায় বক্তব্য রাখেন