নিউজ ডেস্ক : চালককে কৌশলে অচেতন করেই অটোরিকশা চুরি, গ্রেফতার ৩। যাত্রীবেশে ভাড়া নিয়ে চালককে চা-কফি পানের মাধ্যমে অচেতনের পর চুরি করে নিয়ে যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা
চুরির পর চালকের সঙ্গে থাকা মোবাইল নম্বর থেকে মালিককে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে চক্রটির সদস্যরা। না দিলে বিক্রি করে দেয়া হয় অটোরিকশাটি। এমন একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মো. হারুন অর রশিদ সম্প্রতি সময়কে বলেন, প্রথমে চা বা কফি পানের অজুহাতে দোকানের সামনে আটোরিকশাটি দাঁড় করায়, পরে চালককে চায়ের আমন্ত্রণ জানায়। এরপর চালকের চায়ের কাপে কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ বা ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয় তারা। চা-পান শেষে তারা দ্রুত অটোরিকশায় উঠে পড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চালক অচেতন হয়ে পড়লে তারা তাকে রাস্তায় ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে তারা চুরি বা ছিনতাইয়ের কাজটি করে আসছিল।
‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি বা ছিনতাই করতে গিয়ে চালককে করা হচ্ছে অচেতন। অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগের ফলে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যাচ্ছেন চালক। ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। যাত্রীবেশে অটোরিকশা ভাড়া নিয়েও ঘটাচ্ছে এ ধরনের অপরাধ।’
ডিবিপ্রধান বলেন, তারা এসব কর্মকাণ্ড করেই থেমে থাকেনি; চালকের সঙ্গে থাকা মোবাইল নম্বরে মালিককে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে। তাদের কাছ থেকে ৫টি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। দুই শতাধিক চুরির কথা তারা স্বীকার করেছে। ঈদকে সামনে রেখে তৎপর হচ্ছে অজ্ঞান পার্টি।
হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে এ কাজে জড়িত আছে এমন অনেকের নাম পাওয়া গেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ কাজটি করে আসছিল। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এ থেকে রেহাই পেতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।