ঢাকা , শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

রমজান সমগ্র মানবজাতির জন্যে দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী

সোনালী রাজশাহী রমজান : রমজানের  রোযা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোযার স্থান। রোযার আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। পরিভাষায় সওম বলা হয়-প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোযাভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা। সুতরাং রমযান মাসের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ, মুকীম প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং হায়েয-নেফাসমুক্ত প্রাপ্তবয়স্কা নারীর উপর পূর্ণ রমযান রোযা রাখা ফরয।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।

আল্লাহপাক রোজা আমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন – “হে মু’মিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর। যাতে করে তোমরা তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জন করতে পারো। (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৩)।”

রমজান মাস অত্যন্ত মহিমান্বিত মাস কারন এ মাসেই পবিত্র কোরআন মাজীদ নাজিল হয়েছে। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস এমন এক মাস, এ মাসেই কোরআন নাজিল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী। (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৫)”

এ মাসেই আমরা লাইলাতুল কদর পাই; যা সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আমরা বিশ্বাসী এ রাতে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করে দিবেন এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এ রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত।

সিয়াম সাধনার অর্থ – সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার, পাপাচার এবং খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত ও সংযত রাখা। এ পবিত্র মাস মানুষকে সকল রকম গর্হিত ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে এবং সকলকে সাধ্যমত ইবাদাত বন্দেগি করার জন্য উৎসাহিত করে। কারন রোজা সম্পর্কে আল্লাহর স্বয়ং এরশাদ করেছেন: “রোজা আমার জন্যে এবং আমিই তার পুরস্কার দান করবো। ” (সুবহানাল্লাহ!)

ধর্মীয় প্রক্ষাপটে ইসলামে পবিত্র মাহে রমযান ও রোযার গুরুত্ব অত্যাধিক । এপ্রসঙ্গে কুরআনে পাকের পাশাপাশি হাদীসে পাকেও আল্লাহর হাবীব রোযা পালনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।  মহান রাবুল আলামীন ইরশাদ করেন ”ফা-মান শাহিদা মিনকুমুশ শাহরা ফাল ইয়াছুমহু” অর্থাৎ অত:পর তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে সে যেন ( সুস্থ থাকলে) অবশ্যই রোযা পালন করে। (সুরা বাকারা,১৮৫ নং আয়াত)।

তাই প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ-সবল সকল মুসলমানের উপর পবিত্র মাহে রমযানের রোযা পালন করা আবশ্যক এটাই নির্দেশ করে।

সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী জলীলুল কদর সাহাবীয়ে রাসূল (দ.) হযরত আবু হারায়রা রদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন-আল্লাহর রাসূল (দ.) ইরশাদ করেছেন-“যখন পবিত্র রমযান মাস আগমন করে তখন আসমানের সমস্ত দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। অপর এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অথবা রহমতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়।
আর জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং (বিতাড়িত ও অভিশপ্ত) শয়তানদের শৃংখলাবদ্ধ করা হয়। ( সহিহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ)

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

রমজান সমগ্র মানবজাতির জন্যে দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী

আপডেট সময় ০১:২৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

সোনালী রাজশাহী রমজান : রমজানের  রোযা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোযার স্থান। রোযার আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। পরিভাষায় সওম বলা হয়-প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোযাভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা। সুতরাং রমযান মাসের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ, মুকীম প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং হায়েয-নেফাসমুক্ত প্রাপ্তবয়স্কা নারীর উপর পূর্ণ রমযান রোযা রাখা ফরয।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।

আল্লাহপাক রোজা আমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন – “হে মু’মিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর। যাতে করে তোমরা তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জন করতে পারো। (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৩)।”

রমজান মাস অত্যন্ত মহিমান্বিত মাস কারন এ মাসেই পবিত্র কোরআন মাজীদ নাজিল হয়েছে। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস এমন এক মাস, এ মাসেই কোরআন নাজিল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী। (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৫)”

এ মাসেই আমরা লাইলাতুল কদর পাই; যা সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আমরা বিশ্বাসী এ রাতে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করে দিবেন এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এ রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত।

সিয়াম সাধনার অর্থ – সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার, পাপাচার এবং খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত ও সংযত রাখা। এ পবিত্র মাস মানুষকে সকল রকম গর্হিত ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে এবং সকলকে সাধ্যমত ইবাদাত বন্দেগি করার জন্য উৎসাহিত করে। কারন রোজা সম্পর্কে আল্লাহর স্বয়ং এরশাদ করেছেন: “রোজা আমার জন্যে এবং আমিই তার পুরস্কার দান করবো। ” (সুবহানাল্লাহ!)

ধর্মীয় প্রক্ষাপটে ইসলামে পবিত্র মাহে রমযান ও রোযার গুরুত্ব অত্যাধিক । এপ্রসঙ্গে কুরআনে পাকের পাশাপাশি হাদীসে পাকেও আল্লাহর হাবীব রোযা পালনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।  মহান রাবুল আলামীন ইরশাদ করেন ”ফা-মান শাহিদা মিনকুমুশ শাহরা ফাল ইয়াছুমহু” অর্থাৎ অত:পর তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে সে যেন ( সুস্থ থাকলে) অবশ্যই রোযা পালন করে। (সুরা বাকারা,১৮৫ নং আয়াত)।

তাই প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ-সবল সকল মুসলমানের উপর পবিত্র মাহে রমযানের রোযা পালন করা আবশ্যক এটাই নির্দেশ করে।

সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী জলীলুল কদর সাহাবীয়ে রাসূল (দ.) হযরত আবু হারায়রা রদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন-আল্লাহর রাসূল (দ.) ইরশাদ করেছেন-“যখন পবিত্র রমযান মাস আগমন করে তখন আসমানের সমস্ত দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। অপর এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অথবা রহমতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়।
আর জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং (বিতাড়িত ও অভিশপ্ত) শয়তানদের শৃংখলাবদ্ধ করা হয়। ( সহিহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ)