সোনালী রাজশাহী নিউজ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সাত বছরের শিশু পপি সাহাকে হত্যার দায়ে রুনা আক্তার আঁখি নামে এক নারীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় রুনার স্বামী এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
▪
দৈনিক সোনালী রাজশাহী এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News/sonalirajshahi.com
▪
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ও তার স্বামী এমরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রুনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও দণ্ডপ্রাপ্ত ওই নারী আরও একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি এবং তার স্বামী এমরান ঘটনার তিন মাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পার্শ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার শিশুকন্যা পপি সাহাকে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। এ সময় শিশুর কানে থাকা তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন রুনা।
এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে রুনা তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পর রুনার স্বামী এমরান হোসেন ঘরে এলে তাকে হত্যার ঘটনাটি জানান। এতে তিনি মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করেন।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি রুনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় এবং তার স্বামী এমরানকে খালাস দিয়েছেন।
রায়ের পর মামলার বাদী ববিতা রানী সাহা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলা টিপে হত্যা করেছে, তার ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।