ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সাত বছরের শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সোনালী রাজশাহী নিউজ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সাত বছরের শিশু পপি সাহাকে হত্যার দায়ে রুনা আক্তার আঁখি নামে এক নারীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় রুনার স্বামী এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


দৈনিক সোনালী রাজশাহী এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News/sonalirajshahi.com

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ও তার স্বামী এমরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রুনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও দণ্ডপ্রাপ্ত ওই নারী আরও একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন।

মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি এবং তার স্বামী এমরান ঘটনার তিন মাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পার্শ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার শিশুকন্যা পপি সাহাকে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। এ সময় শিশুর কানে থাকা তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন রুনা।

এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে রুনা তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পর রুনার স্বামী এমরান হোসেন ঘরে এলে তাকে হত্যার ঘটনাটি জানান। এতে তিনি মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের এমরানের স্ত্রী। ভিকটিম পপি সাহা উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে দীর্ঘ সময় শিশুটির কোনো খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজতে থাকে। ওই বাড়ির এক নারী রুনার ঘরে পপির মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে রায়পুর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং রুনা ও তার স্বামী এমরানকে আটক করে। পরে রুনা হত্যার ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই শিশুটির মা ববিতা রানী সাহা (৩২) রায়পুর থানায় রুনা এবং তার স্বামী এমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি রুনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় এবং তার স্বামী এমরানকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পর মামলার বাদী ববিতা রানী সাহা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলা টিপে হত্যা করেছে, তার ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সাত বছরের শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

সোনালী রাজশাহী নিউজ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কানের দুল ছিনিয়ে নিতে সাত বছরের শিশু পপি সাহাকে হত্যার দায়ে রুনা আক্তার আঁখি নামে এক নারীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় রুনার স্বামী এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


দৈনিক সোনালী রাজশাহী এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News/sonalirajshahi.com

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা ও তার স্বামী এমরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রুনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও দণ্ডপ্রাপ্ত ওই নারী আরও একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন।

মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুনা আক্তার আঁখি এবং তার স্বামী এমরান ঘটনার তিন মাস আগ থেকে রায়পুর উপজেলার সাগরদি গ্রামের ফারুক হওলাদার বাড়ির কাশেম হাওলাদারের একটি ঘর ভাড়া নেন। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটার দিকে রুনা পার্শ্ববর্তী নেপাল সাহার বাড়ির নির্মল সাহার শিশুকন্যা পপি সাহাকে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। এ সময় শিশুর কানে থাকা তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন রুনা।

এতে শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে রুনা তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে তার মৃতদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার পর রুনার স্বামী এমরান হোসেন ঘরে এলে তাকে হত্যার ঘটনাটি জানান। এতে তিনি মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের এমরানের স্ত্রী। ভিকটিম পপি সাহা উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে দীর্ঘ সময় শিশুটির কোনো খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজতে থাকে। ওই বাড়ির এক নারী রুনার ঘরে পপির মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে রায়পুর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং রুনা ও তার স্বামী এমরানকে আটক করে। পরে রুনা হত্যার ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই শিশুটির মা ববিতা রানী সাহা (৩২) রায়পুর থানায় রুনা এবং তার স্বামী এমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি রুনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় এবং তার স্বামী এমরানকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পর মামলার বাদী ববিতা রানী সাহা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে রুনা গলা টিপে হত্যা করেছে, তার ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।