ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার বর্তমান সমাজে মারাত্মক এক ব্যাধির নাম ইভটিজিং বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  বিজয় নৌকার প্রার্থী খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু রাজশাহী শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার অসহায় বৃদ্ধা আলেয়া পেলেন চোখ অপারেশনের টাকা তীব্র তাপপ্রবাহের পর গোদাগাড়ীতে দেখা মিললো সস্তির বৃষ্টি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বনানী ঘোষ মারা গেছেন দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ এক যুবক গ্রেপ্তার নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হবে: সিইসি

রোজা অবস্থায় অজু-গোসলের সময় গলায় পানি গেলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : যদি কোন ব‍্যাক্তি রোজার কথা স্মরণ না থাকে এবং স্মরণ না থাকার কারণেই গড়গড়া করা হয় এবং গলায় পানি চলে যায়, এতে রোজা ভাঙবে না। সুতরাং ওই রোজার কাজা-কাফফারা কোনোটিই আদায় করতে হবে না। কারণ ভুলে পানাহার করলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

রোজা অবস্থায় অজু ও গোসলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন নাক-কান-গলায় পানি প্রবেশ করতে না পারে। কেননা যদি পানি পেটে ঢুকে যায়, ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা লাগবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৬/২৬০; ফতোয়া খানিয়া: ১/২০৯; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/২০২; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৭১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০১)

আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’

(সহীহ মুসলিম: ১/২০২)

প্রসঙ্গত, রোজা রেখে কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে। তবে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা এবং ইসতেনশাক তথা নাকের পানি জোড়ে টান দেয়া যাবে না।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’
(সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১/২০২)

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আছে, ‘যে রমজান মাসে ভুলে পানাহার করল, তার ওপর কোনো কাজা নেই; কোনো কাফফারাও নেই।’
(ইবনে হিব্বান, হাদিস: ০৮/২৮৮; হাকিম, হাদিস : ০১/৪৩০; সাহিহুল জামি, হাদিস: ৬০৭০)।

ফিকহের কিতাবে রয়েছে যে, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়; যদি রোজাদারের এ কথা মনে থাকে যে; সে রোজা রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার ও সঙ্গম করে, তবে তার রোজা ভাঙবে না। অবশ্য, স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা থেকে বিরত থাকতে হব।
(রদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ০৩, পৃষ্ঠা: ৩৬৫)

সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা: ৯৫৮০; কিতাবুল আছল: ২/১৫০; বাদায়িউস সানায়ি: ২/২৩৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ৩/৩৭৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০২; রদ্দুল মুহতার: ২/৪০১

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ীতে ১৫০ গ্রাম হিরোইনসহ একজন গ্রেফতার

রোজা অবস্থায় অজু-গোসলের সময় গলায় পানি গেলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

আপডেট সময় ০৭:৫৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

সোনালী রাজশাহী ডেস্ক : যদি কোন ব‍্যাক্তি রোজার কথা স্মরণ না থাকে এবং স্মরণ না থাকার কারণেই গড়গড়া করা হয় এবং গলায় পানি চলে যায়, এতে রোজা ভাঙবে না। সুতরাং ওই রোজার কাজা-কাফফারা কোনোটিই আদায় করতে হবে না। কারণ ভুলে পানাহার করলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

রোজা অবস্থায় অজু ও গোসলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন নাক-কান-গলায় পানি প্রবেশ করতে না পারে। কেননা যদি পানি পেটে ঢুকে যায়, ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা লাগবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৬/২৬০; ফতোয়া খানিয়া: ১/২০৯; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/২০২; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৭১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০১)

আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’

(সহীহ মুসলিম: ১/২০২)

প্রসঙ্গত, রোজা রেখে কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে। তবে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা এবং ইসতেনশাক তথা নাকের পানি জোড়ে টান দেয়া যাবে না।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’
(সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১/২০২)

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আছে, ‘যে রমজান মাসে ভুলে পানাহার করল, তার ওপর কোনো কাজা নেই; কোনো কাফফারাও নেই।’
(ইবনে হিব্বান, হাদিস: ০৮/২৮৮; হাকিম, হাদিস : ০১/৪৩০; সাহিহুল জামি, হাদিস: ৬০৭০)।

ফিকহের কিতাবে রয়েছে যে, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়; যদি রোজাদারের এ কথা মনে থাকে যে; সে রোজা রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার ও সঙ্গম করে, তবে তার রোজা ভাঙবে না। অবশ্য, স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা থেকে বিরত থাকতে হব।
(রদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ০৩, পৃষ্ঠা: ৩৬৫)

সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা: ৯৫৮০; কিতাবুল আছল: ২/১৫০; বাদায়িউস সানায়ি: ২/২৩৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ৩/৩৭৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০২; রদ্দুল মুহতার: ২/৪০১