সোনালী রাজশাহী : রাজশাহী নগরীতে অক্সিজেনের পাইপ নাকে নিয়ে রিকশা চালান সেন্টু। সাত বছর ধরে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালান মাইনুরুজ্জামান সেন্টু। এখন তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক)।
গত রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় রাখা হয়েছে। গত দেড় মাসে ব্যক্তিগত খরচে কেনা অক্সিজেন সংকটে পড়ে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
জানা যায় রাজশাহী নগরীতে আগে সেন্টুর খাবারের দোকান ছিল। ২০১৫ সালের দিকে তার শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ধরা পড়ে। এরপর খাবার দোকান বন্ধ করে দেন তিনি। ২০১৬ সালে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৮০ হাজার টাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা কেনেন। সেই রিকশা চালাতে শুরু করেন সেন্টু। শুরুতে সমস্যা না হলেও পরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। বেড়ে যায় ওষুধের ব্যয়। ফলে, রিকশা চালানো ছাড়তে পারেন না তিনি। রোজগারের জন্য রিকশায় সিলিন্ডার লাগিয়ে সেখান থেকে নাকে অক্সিজেনের পাইপ টেনে পথে নামতে হয়।
, চিকিৎসার জন্য সেন্টুকে প্রতিদিন ব্যয় করতে হয় ৬০০ টাকা। তিনি যখন রিকশা চালান, তখন হ্যান্ডেলের সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাঁধা থাকে। সেই সিলিন্ডার থেকে একটি নল চলে গেছে সেন্টুর নাকের কাছে। এভাবেই অক্সিজেন নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে রিকশা চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন।
সেন্টুর স্ত্রী চম্পা বেগম জানান, তার স্বামীর আগে যক্ষা রোগ ছিল। চিকিৎসা করে সে রোগ সেরে গেলেও ফুসফুসের সমস্যা পুরোপুরি যায়নি। সাত বছর থেকে তার স্বামীর শ্বাসকষ্টের এই রোগ। তিন বছর ধরে বেড়েছে রোগের তীব্রতা। গত পাঁচ মাস ধরে প্রতিদিন তিনটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে তার।
চম্পা বেগম আরও জানান, প্রতিদিনের অক্সিজেন কিনতে খুব কষ্ট হয় তাদের। বর্তমানে তাদের দুটি অক্সিজেনের সিলিন্ডার আছে। যার মধ্যে একটি তার মামা শ্বশুর ও অন্যটি এলাকার মানুষজন কিনে দিয়েছে। এতে করে সিলিন্ডার কিনতে হয় না। কিন্তু, প্রতিদিনের অক্সিজেন কিনতে হয়।