পাবনার চাটমোহরে মোবাইলে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে উর্মি আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেললাইনের ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের সারুটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রী উর্মি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের খান জাহান আলীর মেয়ে। সে বেতুয়ান বিবি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন সকালে প্রাইভেট পড়তে ভাঙ্গুড়া বাজারে যান উর্মি আক্তার। বুধবার দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে রেললাইনের পাশের বাগানে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কারো সঙ্গে কথা বলছিল উর্মি। মোবাইলে কথা বলার এক পর্যায়ে ট্রেন আসলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। এতে শরীর দ্বিখন্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই উর্মির মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি রেললাইনে বসে মোবাইলে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে রেগে দ্রুত ট্রেনের নিচে ঝঁপ দেয়। তাদের ধারণা,কারও সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানারেওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেট পড়ার কথা বলে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল উর্মি। পারিবারিক মান অভিমান থেকে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনা তদন্ত করবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন বলেন, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি আমরা জেনেছি। মরদেহ উদ্ধারের জন্য ফোর্স পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।