নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে আবহাওয়ার কবলে পড়ে তানোরে আলুর জমিতে পানি জমাই বিপাকে চাষীরা ।
তানোর উপজেলা পাচন্দর ইউনিয়নের যশপুর মাঠে পানি ছেচে বের করছে আলু চাষিরা এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। কৃষকরা বলছেন, সদ্য রোপনকৃত আলুর যে জমিতে সেচ দেয়া হয়েছিলো সেই সব জমিতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। জমে থাকা পানি বের করতে না পারলে রোপনকৃত আলু বীজ পচে যাবে। ফলে, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।
তবে, সেচ না দেয়া জমিতে রোপনকৃত আলুর কোন সমস্যা হবে না।
তানোর উপজেলার আলু চাষের বিভিন্ন আবাদি জমিতে দেখা গেছে, বেশীর ভাগ জমিতেই পানি জমে রয়েছে, আর সেই পানি বের করার জন্য মাঠ জুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। যে সব জমিতে সেচ দেয়া হয়েছিল ওই সব আলুর জমি ক্ষতি হবে। জমি থেকে দ্রুত পানি বের করতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। পানি বের করতে না পরলে লোকসানের মুখে পড়বে চাষীরা। আর যারা সেচ নেয়নি তাদের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
কৃষকরা বলছেন, জমিতে আলু রোপনের ১০ দিন থেকে ১২ দিনের মধ্যে সেচ দিতে হয়। উপজেলার বেশির ভাগ জমি ১৫ দিন থেকে ২০ দিন আগেই রোপন করার পর সেচ দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। অল্প কিছু জমি ৮ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে রোপন করা হয়েছে। সেই রোপন করা আলুতে সেচ দেয়ার প্রস্তুতিও চলছিলো।
তবে এই বৃষ্টিতে সরিষা চাষিদের উপকার হবে বলেও জানান কৃষকরা।