সোনালী রাজশাহী: ফরিদপুর নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।
এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলা হবে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর পৌরশহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনে তরুণ সমাজের জন্য ২০৪১ সাল ঘোষণা করা হয়েছে। ২০৪১ সালে মধ্যে এ দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। তরুণ সমাজ ডিজিটাল ডিভাইস কম্পিউটার ব্যবহার করবে। নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরবে। স্মার্ট জনশক্তি হবে, স্মার্ট সরকার হবে, স্মার্ট অর্থনীতি হবে। সমাজ ব্যবস্থাটাই হবে স্মার্ট ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা ৭১-এর মহান মুক্তিযোদ্ধে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তাদের সালাম জানাই। আপনাদের আত্মত্যাগে আমাদের দেশকে পেয়েছি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হয়। ইয়াহিয়ার পতন হয়। ভুট্টু ক্ষমতায় আসে। আন্তর্জাতিক চাপে বাধ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে। ‘তিনি দেশে ফিরে এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ দেখেন। রাস্তা ঘাট নেই। সবই ভাঙা। এ দেশে যুদ্ধকালীন সময় ফসল হয়নি, গোলায় এক ফোটা ধান ছিল না। কারণ, পাকিস্তানিরা আগুন দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এক পয়সাও রিজার্ভ ছিল না। শূন্য হাতে ধ্বংস স্তূপে দাঁড়িয়ে একটার পর একটা গড়তে শুরু করেন জাতির পিতা। তিন বছর সাত মাসে জাতিসংঘে দেশকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই সরকার গঠন করে দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছি। ২১ বছর পর সরকারে এসেছি। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। বিদ্যুৎ চাহিদা ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি। মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় আসা মানে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, লুটপাট আর দুঃশাসন। গ্যাস বিক্রি করতে দেইনি বলে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় আসি। বিএনপি ১০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি। আর ২০১৮ সালে প্রার্থীর মনোনয়ন বাণিজ্য করে নিজে থেকে সরে যায় তারা। তবে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর সরকারে আছে। দেশের উন্নয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৩ টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি পরিবার ঘর পেয়েছে। আমরাই বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি। স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা ভাতা দিচ্ছি। সারাদেশে বিনামূল্যে বই দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, শেলি জামানকে সভাপতি ও শামীম হককে সাধারণ সম্পাদক করে নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ গড়েছিলাম। সেখান থেকেই আমি জানি শামীম হক নিবেদিত প্রাণ, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মী।
বিদেশে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করেও তিনি সেখানে সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশে এখন ফরিদপুরে কাজ করছে। তাকেই আমরা নোমিনেশন দিয়েছি। শামীম হক, আপনাদের কাছে তাকে তুলে দিয়ে গেলাম। নৌকায় ভোট দিয়ে তাদের জয়যুক্ত করবেন।