লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীত হলো বিয়ের মৌসুম। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতেই বেশিরভাগ মানুষেরা বিয়ের পরিকল্পনা করেন।
বছরে সব চেয়ে বেশি বিয়ে হয় শীতকালে। এই জন্য শীতকালকে বলা হয়ে থাকে বিয়ের মৌসুম। শীতের সময় দিন ছোট হলেও বিয়ের আয়োজনে পাওয়া যায় নানা রকম সুবিধা। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতেই বেশিরভাগ মানুষেরা বিয়ের পরিকল্পনা করেন।
তবে শীতকালই কেন বিয়ের উপযুক্ত সময়?
বিয়ের মতো এই বিপুল আয়োজন করতে লোকবলও লাগে প্রচুর। ফলে শীতের সময়ে বিয়ে করার অনেক সুবিধা আছে। বছরের এ সময়টাতে সবার ছুটির আনন্দে থাকে।এ কারণে বিভিন্ন উৎসব ও আয়েজনে পরিবার, বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়।
আরও যেসব কারণে শীতকাল বিয়ের জন্য উপযুক্ত সময়-
কনের মেকআপ
বিয়ের মেকআপ থেকে শুরু করে বিরেয় বাড়ির খাওয়া-দাওয়া শীতকালে সবটাই ভীষণ স্বস্তিদায়ক। বিয়েতে কনের সাজগোজ আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। কনে কী বেনারসী পরেছেন, কেমন রূপটান করেছেন, সবটাই অত্যন্ত কৌতূহলের একটি বিষয়। অনেক সময় বিয়ের লগ্ন অনেক রাতে থাকে। ফলে কনের সাজগোজ ঠিক থাকা জরুরি। গরমের তুলনা শীতে রূপটান দীর্ঘস্থায়ী হয়।
বিয়েতে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া
বিয়ে মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। বিয়ে বাড়ির খাবার হয় তেল-কাল ও মসলাযুক্ত। গরমকালে এসব খাবার শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই শীতকালে বিয়ে করলে এ ধরনের খাবার খাওয়া যায় নিশ্চিন্তে। ৩. শীতকালে বিয়ে করলে বিদ্যুতের খরচে খানিকটা হলেও কমানো যায়। কারণ শীতকালে ফ্যান বা এসির ঝামেলা থাকে না। তাছাড়া অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা কমে।
ফুলের সমাহার
অন্যদিকে শীতে গাঁদা, ডালিয়া ও গোলাপসহ বাহারি ফুলের দেখা মেলে। এ কারণে সহজলত্যেই মেলে এসব ফুল। তাই বিয়ের ডেকোরেশনে ফুলের খরচণ্ড একটু কমে।
বিয়ের সাজগোজ
বিয়েবাড়িতে সাজগোজ মানেই জমকালো হবে। ভেলভেট বা সিন্ধের পোশাক পরলে বিয়েবাড়িতে তা বেশ মানানসই হয়। তবে গরমকালে এ ধরনের কাপড় পরা যায় না। তবে শীতকালে ভেলভেটের শাড়ি বা গাউন পরা যায়