বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের আয়োজনে ০৯ দিনব্যাপী এ আয়োজন শেষ হবে আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫.০০টায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সুলতান - উল-ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, করনাকালীন সময়ের পরবর্তীতে সিলেবাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের স্থবিরতা কাটিয়ে উঠানোর জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আজকের এই আন্তঃহল বির্তক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটাবে এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান- উল- ইসলাম বলেন, বহুদিন পর আমরা শুরু করেছি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা। শুরু করাটাই আমাদের সবথেকে কষ্টের বিষয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এমন উদ্যোগে উদ্যোগী হয়েছেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখন আমাদের এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং যারা বিতর্ক করতে আগ্রহী তাদেরকে সমবেত করতে হবে।
শিক্ষকরা উদ্যোগী হয়ে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে বিতর্ক প্রতিযোগিতার গুণাবলি ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ উদ্যোগ সফল হবে বলে জানান তিনি। এদিকে সংসদীয় পদ্ধতিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় নক আউট রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল এ চার ধাপের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হল থেকে ১৭টি দল এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য বির্তাকিক -শিক্ষকগণ এ প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর, নক আউট রাউন্ডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বনাম সৈয়দ আমির আলী হল, শেরে বাংলা ফজলুল হক হল বনাম তাপসী রাবেয়া হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল বনাম শহীদ শামসুজ্জোহা হলের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের পরিচালক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিন্ডিকেট সদস্য মাহমুদুল হাসান টুটুলসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা।