নিয়ামতপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর গুজি শহরের উচ্চবিদ্যালয় ও মন্দিরের উন্নয়ন পকল্পে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পুরনো প্রেম গোসাই মেলা।
উপজেলার বাহাদুরপুরে গ্রামীন মেঠোপথে মানুষের ঢল। উপলক্ষ একটায় গ্রামের মাঠে বসেছে মেলা। নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখোর মেলা প্রাঙ্গন।। মেলার মুখোরচোক খাবার থেকে শুরু করে খেলনা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য
নাগরদোলায় চেপে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলেছে শিশুর দল। গৃহবধূরাও ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গনে। ব্যস্ত দিন তাদেরও কেটেছে কেনাকাটায়। সভ্যতা,সংস্কৃতি আর শেকড়ের টানে সবাই ছুটে আসছেন মেলায়। যে কারণে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছিল উৎসবের আমেজ।
মেলা উপলক্ষে এলাকার মেয়ে, জামাই ও আত্নীয় স্বজনের নিমন্ত্রণের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। উপজেলার বাহাদুর পুরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই মেলা চলে আসছে শত বছর সময় ধরে।
গত ৩০ জানুয়ারী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মেলার উদ্বোধন হয়েছে চলবে ১৫ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত। দর্শনার্থীরা আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করছেন ঐতিহাসিক যাত্রাপালা সার্কাস প্রদর্শন । এদিকে আপনার ঘরকে সাজাতে বিভিন্ন কাঠের তৈরি আসবারপত্র, শিশুদের জন্য বাহারী রংয়ের খেলনা বিনোদনের নাগরদোলা।
এছারাও পাওয়া যাচ্ছে রকমারি সুস্বাদু , নিমকি, জিলাপি, মন্ডা, মিঠাই, বিন্নি ও খইসহ হরেক রকম গ্রামীন খাবার সব মিলিয়ে মেলায় যে রকম যতটুকু আনন্দ পাওয়ার জন্য দর্শনার্থীদের দরকার সব রকম আয়োজন রয়েছে।
গ্রামের গৃহবধূরা মেলায় গিয়ে কিনছেন লোহাড় বটি, মাটির পাতিল, কাঠের খেলনা, বিন্নি-খই ইত্যাদি জিনিসপত্র। প্রতি বছর সংসারের নানা জিনিসপত্র এ মেলা থেকেই কিনে থাকে তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকবছর থেকে নিয়ামতপুর উপজেলার গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা বসলেও এবার এই মেলা সেখান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে বসেছে।
কমিটির সভাপতি কাঞ্চন চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র প্রামানিক জানান ‘গ্রামীণ সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য মেলায় প্রতিবছর যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় প্রতি বছরের মত এ বছরেও মেলা উদযাপিত হচ্ছে।