চাপাইনবাবগঞ্জ: দই বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক অতি সাধারণ জিয়াউল হক এ বছর সমাজসেবায় একুশে পদক পেয়েছেন।
এ নিয়ে এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা, অনেকে দূরদুরান্ত থেকে তাকে দেখতে কথা বলতে, আসছে মানুষ। সাধারনভাবে জীবন ধারণ করা এ মানুষটি তাঁর পেশার প্রতি কতটা আন্তরিক তা না দেখলে বুঝা যাবে না। তাঁকে দেখে অবাক হওয়ার মত কিছুই নাই, একজন জিয়াউল হক এভাবেই নীরবে নিভৃতে কাজ করে যায় এই সমাজ এবং দেশের জন্য। বাইরের চাকচিক্য তাকে একদম টানে না, তারা এরকমই হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে তার বাড়ী । তিনি ১৯৬০ সাল থেকে অদ্যাবধি মানুষের মাঝে বই, কাপড়, বাড়ির নির্মাণ সামগ্রীসহ তাঁর সমস্ত কিছু বিলিয়ে চলেছেন। মাত্রই চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পারা এই জিয়াউল হকের বাড়িতে প্রায় ১৫০০০ বইয়ের সমন্বয়ে ১টি লাইব্রেরি রয়েছে, যা সকলের জন্য উম্মুক্ত। ইতিপূর্বে তাঁকে "সাদা মনের মানুষ" উপাধি দেয়া হয়েছে। একুশে পদক পাওয়া আগ পর্যন্ত পুরো জেলায় একজন সাদা মনের সহজ সরল ও সৎ মানুষ বলে পরিচিত ছিলেন। মানুষের পরিচয় তার পদ পদবী উচ্চ ডিগ্রী পেশা বা পোশাকে নয়, মানুষের পরিচয় তার কর্মে। প্রবাদ আছে, জন্ম হউক যথাতথা কর্ম হউক ভাল। মানুষ বড় হয়ে থাকেন তার কৃত কর্মের কারনে।
তার জ্বলন্ত উদাহরণ আজকের পুরো দেশবাসীর গর্ব একজন দই বিক্রেতা জিয়াউল হক। তার কথা বেচবো দই, কিনবো বই। কি সুন্দর কথা। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, প্রশাংসায় ভাসছেন সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক। তার সুস্থ্য সুন্দর ও দীর্ঘায়ু কামনা করছেন অনেকে ।