সাদিয়ার আর সাফিয়ার বয়স দুইয়ের আশেপাশে। তাদের হাতে লাল রঙের ফুল। জোর করেও তাদের কাছ থেকে ফুল নেয়া যাচ্ছে না।
তারাও নাকি যাবে শহীদ মিনারে। দিন-পঞ্জিকায় এখন ঋতু বসন্ত হলেও সকালটা শীতের দখলেই রয়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারিদিক। যেন বসন্তকে বিলম্বিত করার জোর প্রচেষ্টা। তবে প্রকৃতি চলে তার আপন খেয়ালে। গাছে গাছে রংবেরঙের ফুলের সমাহার জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে।
বসন্তের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আতিয়া, নাফিসা, সুবহানা, জান্নাতুন বের হয়েছে ফুল সংগ্রহ করতে। তাদের সঙ্গে ছোট্ট সাফিয়া ও সাদিয়া। নাফিসার বোন সাদিয়া আর সুবহানার বোন সাফিয়া। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের এই ফুল সংগ্রহ ।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পীরপুকুরিয়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি বাগানবিলাস ফুল গাছ থেকে তারা ফুল সংগ্রহ করছিল। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে আরও বুনো ফুল ছিল। আতিয়া, নাফিসা, সুবহানা পীরপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর জান্নাতুন গাঙ্গোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
আতিয়া, নাফিসা, সুবহানা জানালো, তাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষকরা ফুল নিয়ে যেতে বলেছে। গোলাপ, গাঁদা তো পাব না। তাই আশেপাশে যেই ফুল পাচ্ছি তাই সংগ্রহ করছি।
পীরপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক জানালেন, আমরা গতকাল শিক্ষার্থীদের ফুল আনতে বলেছিলাম। তারা ফুল নিয়ে এসেছিল। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এছাড়াও বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কণ, কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চৌরাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন বললেন, এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা কুয়াশামাখা সকালে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল সংগ্রহ করতে বের হয়েছে তা জেনে সত্যিই ভালো লাগছে।
মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ায় হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।
তারাও নাকি যাবে শহীদ মিনারে। দিন-পঞ্জিকায় এখন ঋতু বসন্ত হলেও সকালটা শীতের দখলেই রয়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারিদিক। যেন বসন্তকে বিলম্বিত করার জোর প্রচেষ্টা। তবে প্রকৃতি চলে তার আপন খেয়ালে। গাছে গাছে রংবেরঙের ফুলের সমাহার জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে।
বসন্তের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আতিয়া, নাফিসা, সুবহানা, জান্নাতুন বের হয়েছে ফুল সংগ্রহ করতে। তাদের সঙ্গে ছোট্ট সাফিয়া ও সাদিয়া। নাফিসার বোন সাদিয়া আর সুবহানার বোন সাফিয়া। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের এই ফুল সংগ্রহ ।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পীরপুকুরিয়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি বাগানবিলাস ফুল গাছ থেকে তারা ফুল সংগ্রহ করছিল। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে আরও বুনো ফুল ছিল। আতিয়া, নাফিসা, সুবহানা পীরপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর জান্নাতুন গাঙ্গোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
আতিয়া, নাফিসা, সুবহানা জানালো, তাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষকরা ফুল নিয়ে যেতে বলেছে। গোলাপ, গাঁদা তো পাব না। তাই আশেপাশে যেই ফুল পাচ্ছি তাই সংগ্রহ করছি।
পীরপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক জানালেন, আমরা গতকাল শিক্ষার্থীদের ফুল আনতে বলেছিলাম। তারা ফুল নিয়ে এসেছিল। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এছাড়াও বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কণ, কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চৌরাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন বললেন, এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা কুয়াশামাখা সকালে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল সংগ্রহ করতে বের হয়েছে তা জেনে সত্যিই ভালো লাগছে।
মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ায় হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।