আব্দুল কাদের নাহিদ বাঘা: পারিবারিক উদ্যোগে মসজিদের জন্য জমি দান করেছিলেন মাজেদ আলীর পরিবার। আনুষ্ঠানিক আয়োজনের ভেতর দিয়ে দেরিতে মসজিদ তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনের কথা ভেবে ১১ মার্চ নতুন মসজিদে প্রথম নামাজ আদায় করেন এলাকাবাসী।
পাকা মসজিদ তৈরির নির্ধারিত স্থান ফাঁকা রেখে পাশের নির্মানাধীন একটি ভেড়ার খামার নামাজের উপযুক্ত করে অস্থায়ী মসজিদ তৈরি হয় সেখানে৷ এতে রোজার আগে কম সময়ের ভেতর একটি মসজিদ তৈরি করতে পেরে আনন্দিত মুসল্লিরা। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ মিলিক বাঘা গ্রামের বাসিন্দাদের নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি চালু হয়। এশার নামাজ ও রোজার প্রথম তারাবির মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় বাইতুন নূর মসজিদের।
বাণিজ্যিক ভেড়ার খাবার তৈরির উদ্দেশ্যে স্থানীয় কয়েক তরুণ উদ্যোক্তাদের গ্রুপ (কৃষকেরই ঢাকি) টিনশেডের ঘর তৈরির কাজ অধিকাংশ শেষ করেছিলেন। আনুষ্ঠানিক খামারের যাত্রা শুরু হতে দেরি হওয়ায় সেটি অব্যবহৃত ছিল। এলাকাবাসীর আগ্রহে কথা মাথায় রেখে সেখানে অস্থায়ী মসজিদ তৈরিতে সম্মত হয় তরুণরা।
কৃষকের ঢাকির (পরিচালক অর্থ) সোহেল রানা জানান, আমাদের ঘরটি মসজিদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। প্রথম দিনে এশার নামাজে মসজিদটিতে ইমামসহ ৯৭ জন মুসল্লী নামাজে অংশগ্রহণ নেয়। মাওলানা আব্দুল গাফফার এশার নামাজ ও হাফেজ সোহান আলী তারাবির নামাজের ইমামতি করেন। উদ্বোধনী নামাজে উপস্থিত ছিলেন বাঘা ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক, মাওলানা আব্দুল লতিফ। বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাজেদ আলী জানান, নির্ধারিত স্থানে মসজিদ তৈরীর প্রস্তুতি আমরা ইতিমধ্যেই নিয়েছি।
এলাকার বেশ কয়েকজন মুরুব্বী ও তরুণ যুবকদের স্বেচ্ছায় শ্রমের ভেতর দিয়ে আমরা মসজিদ নির্মাণ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ । পাকা মসজিদের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই নামাজ আদায় হবে।