নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৭কেজি হিরোইন, সর্ণ, নগদ অর্থসহ একজন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার ১৯ জুন গভীর রাতে গোদাগাড়ীর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কসাইপাড়া আচুয়া ভাটা গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক, স্বর্ণ, ও নগদ অর্থসহ মাদক সম্রাট মোঃ জিয়ারুল কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ জিয়ারুল ইসলাম (জিয়া) ৩৫ , পিতাঃ মৃত আব্দুল লতিফ গ্রামঃ কসাই পাড়া , থানাঃ গোদাগাড়ী , জেলাঃ রাজশাহী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার ) বলেন
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ফেন্সিডিল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। (১৯-০৬-২০২৩) রাত ০৩.৪৫ ঘটিকার দিকে নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো: সোহেল রানা এবং অফিসার ইনচার্জ গোদাগাড়ী মডেল থানা কামরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটা চৌকস দল গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের আচুয়া কসাইপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম(৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল লতিফের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭.৫ কেজি হেরোইন, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, হেরোইন বিক্রির ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২৫৮ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ তাকে গ্রেফতার করে।
উদ্ধারকৃত হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাড়ে সাত কোটি টাকা এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণলংকারের মূল্য প্রায় বিশ লক্ষ টাকা। পুলিশ সুপার বলেন অভিযানের প্রথম পর্যায়ে জিয়ারুলের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। অধিকতর তল্লাশির এক পর্যায়ে তার বাড়িতে বিশাল একটা আধুনিক এবং সুরক্ষিত স্টিলের তৈরি ভল্ট পাওয়া যায়। ভল্টের চাবির জন্য অনুরোধ করা হলেও জিয়ারুল চাবি না দেয়ায় এবং গোয়েন্দা তথ্য থাকার কারণে ভল্ট ভাঙ্গার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে আহবান জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে ভল্ট ভেঙ্গে তার ভিতর থেকে বাকি সাত কেজি হেরোইন এবং উক্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। টাকার এবং স্বর্ণালংকারের বৈধ হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সেগুলোকে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জিয়ারুল জানায় সে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে। সে সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে হেরোইন এনে তার বাড়িতে মজুদ করে এবং সুবিধামতো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। এ ব্যবসা করে সে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে। নিজের মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ, স্বর্ণ এবং হেরোইনের নিরাপদ হেফাজতের জন্য সে বছর তিনেক আগে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এই ভল্টটি সংগ্রহ করে। উদ্ধার হওয়া ফেন্সিডিল সে নিজের সেবনের জন্য সংগ্রহ করেছিল।
তিনি আরোও বলেন রাজশাহী জেলা তথা বাংলাদেশের মাদক উদ্ধারের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের নজির খুব কম। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযান চলবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতন রাজশাহীবাসী এবং মিডিয়া কর্মীদের সহযোগীতা কামনা করছি।