কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪ এ দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন পাঁচজন।
২৩ মার্চ, শনিবার দুপুরে পরপর তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। এর আগে সকালে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ দিকে নদীর পাড়ে ভোর থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। কোন সময় মিলবে সন্ধান। অপেক্ষা করছে কারো বাবা, কারো ছেলে, কারো মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন। স্বজনহারা মানুষদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে মেঘনার তীর।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। নিখোঁজ নৌযান এবং ব্যক্তিদের না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে।