নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জিল্লার রহমান ও একই কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৪২ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হতে চলেছে।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ক্ষতিপূরণসহ অন্যকোন কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দিয়ে পুনরায় তাদের শিক্ষা জীবন ফিরে পাবার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভূক্তভোগী ৪২ জন শিক্ষার্থী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, রাজশাহী বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার কারণে ৪২ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজর শিক্ষার্থীরা ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আমরা কলেজে ভর্তি হই। ওই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
কিন্তু ভর্তির দুই বছর পার হলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজটি বিএমডিসির কর্তৃক অনুমোদন নাই। এছাড়াও আরো জানতে পারি, প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নয়। এক কথায় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভুয়া ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জিল্লার রহমান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে জানালে তারা বলে কলেজের অধিভুক্তি ও অনুমোদন রয়েছে। আবারো তারা আশ্বাস দিয়ে আমাদের কাছ থেকে প্রতারণা যোগ সাজস করে কয়েক ধাপে উন্নয়ন ফি এর নাম করে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেই। আমরা যখন তাদেরকে দেখি যে, একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তখন আমাদের বিশ্বাস আরো দৃঢ় হয় তাদের কথায়।
কিন্তু সাবেক সচিব সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব থেকে তিনি এরইমধ্যে অব্যাহতি নিয়েছেন। এই কথা বলে তিনি দায়মুক্ত হতে চাচ্ছেন। যেটি কখনোই গ্রহণযোগ্য না। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের কাছে গেলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা করতে পারবে না, চাইলে শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে তার কোন আপত্তি নাই। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহূর্তের মধ্যে বিনা নোটিশে শিক্ষার্থীদেরকে হোস্টেল থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন হোস্টেল ত্যাগ করতে না পারলে তোমাদের জান ও মালের নিরাপত্তা কেউ দিবে না।
এ বিষয়ে আমরা চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যার তদন্ত চলমান। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবসায়ী প্রতারক মনিরুজ্জামান স্বাধীন ও জিল্লার রহমানের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আর্থিক, মানসিক এবং সার্বিকভাবে বিপর্যন্ত। আমাদের ৪২ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পথে।
তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা পায়নি। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের নিশ্চয়তা নিরাপত্তা সকল কিছু দিতে ব্যর্থ। বরং তার কাছেই শিক্ষার্থীরা বেশি নিরাপত্তাহীন। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষাজীবন রক্ষার্থে অতি দ্রুত নবায়ন যুক্ত মেডিকেলে মাইগ্রেশনের দাবী জানান শিক্ষার্থীরা।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ক্ষতিপূরণসহ অন্যকোন কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দিয়ে পুনরায় তাদের শিক্ষা জীবন ফিরে পাবার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভূক্তভোগী ৪২ জন শিক্ষার্থী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, রাজশাহী বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার কারণে ৪২ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজর শিক্ষার্থীরা ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আমরা কলেজে ভর্তি হই। ওই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
কিন্তু ভর্তির দুই বছর পার হলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজটি বিএমডিসির কর্তৃক অনুমোদন নাই। এছাড়াও আরো জানতে পারি, প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নয়। এক কথায় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভুয়া ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জিল্লার রহমান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে জানালে তারা বলে কলেজের অধিভুক্তি ও অনুমোদন রয়েছে। আবারো তারা আশ্বাস দিয়ে আমাদের কাছ থেকে প্রতারণা যোগ সাজস করে কয়েক ধাপে উন্নয়ন ফি এর নাম করে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেই। আমরা যখন তাদেরকে দেখি যে, একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তখন আমাদের বিশ্বাস আরো দৃঢ় হয় তাদের কথায়।
কিন্তু সাবেক সচিব সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব থেকে তিনি এরইমধ্যে অব্যাহতি নিয়েছেন। এই কথা বলে তিনি দায়মুক্ত হতে চাচ্ছেন। যেটি কখনোই গ্রহণযোগ্য না। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের কাছে গেলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা করতে পারবে না, চাইলে শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে তার কোন আপত্তি নাই। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহূর্তের মধ্যে বিনা নোটিশে শিক্ষার্থীদেরকে হোস্টেল থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন হোস্টেল ত্যাগ করতে না পারলে তোমাদের জান ও মালের নিরাপত্তা কেউ দিবে না।
এ বিষয়ে আমরা চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যার তদন্ত চলমান। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবসায়ী প্রতারক মনিরুজ্জামান স্বাধীন ও জিল্লার রহমানের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আর্থিক, মানসিক এবং সার্বিকভাবে বিপর্যন্ত। আমাদের ৪২ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পথে।
তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা পায়নি। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের নিশ্চয়তা নিরাপত্তা সকল কিছু দিতে ব্যর্থ। বরং তার কাছেই শিক্ষার্থীরা বেশি নিরাপত্তাহীন। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষাজীবন রক্ষার্থে অতি দ্রুত নবায়ন যুক্ত মেডিকেলে মাইগ্রেশনের দাবী জানান শিক্ষার্থীরা।