ছয় শতাধিক ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, এতিম, দিনমজুর দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য এ ব্যতিক্রমী ইফতার আয়োজন করেছেন ফরিদপুর জেলা পুলিশ।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ লাইন্সে আসতে শুরু করে তারা। ইফতারের আগেই পুলিশ লাইন্সের হলরুম লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ছয় শতাধিক দরিদ্র অসহায় মানুষ অংশ নেন ইফতারে।
ভিক্ষুক, এতিম, রিকশাচালক, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর দরিদ্র অসহায় মানুষ ইফতারে অংশ নিয়ে খুবই খুশি। তাদের সঙ্গে বসে ইফতারে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ইফতারে খাবার ছিল সরবত, ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, আলুর চপ, খেজুর, আপেল, কলা, জিলাপি, মাঠা ও গরুর মাংসের তেহারি। সঙ্গে ছিল পানির বোতল। ইফতারে এধরনের খাবার খেতে পেরে খুশি তারা। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন নাজমা বেগম। ইফতারে অংশ নিতে এসেছেন নাজমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। জীবনে প্রথমবারের মতো চেয়ার টেবিলে বসে ইফতারি করলাম, এটা জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। খুবই ভালো লেগেছে বলে কেঁদে ফেলেন নাজমা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যিনি এই আয়োজন করেছেন আল্লাহ তাকে আরও তওফিক দিক গরিব মানুষের জন্য কিছু করার।’
কথা বলতে পারেন না (বোবা) এরকম মানুষ এসেছেন বেস কয়েকজন। তারা হাত দিয়ে ইশারা করে জানালেন তারা খুবই আনন্দিত এরকম একটি ইফতারে অংশ নিতে পেরে। প্রথমবারের মতো এভাবে ইফতার করতে পেরে খুশি তারা।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, প্রথমবারের মতো জেলা পুলিশের আয়োজনে এধরনের ইফতারির আয়োজন করা হলো। এছাড়াও ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার ।