চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩০ জন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জরুরি পরিষেবা টিম এখনো ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি উদ্ধার করতে পারেনি; তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর বুধবার (১ মে) স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটে গুয়াংডং প্রদেশের মেইঝু শহর ও ডাবু কাউন্টির মধ্যবর্তী এস-১২ মহাসড়কের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়ে। এর ফলে সেখানে অনেক মানুষ ও ১৮টি যানবাহন আটকা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২৩টি যানবাহন ধসে পরা কাঁদার মধ্যে পাওয়া গেছে।
এছাড়া অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেই ধসে পরা কাঁদামাটি থেকে যানবাহনগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
২ মে, বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানায়, ২ মে সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মহাসড়ক ধসের ঘটনায় অন্তত ৩৬ জন মারা গেছেন, আর আহত হয়েছেন ৩০ জন। তবে আহতদের জীবনের ঝুঁকি নেই।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ঘটনাটি একটি প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়। অবিরাম ভারী বৃষ্টির প্রভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাস্তার একটি ১৭.৯ মিটার প্রসারিত অংশ ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩টি যানবহন গর্তে পাওয়া গেছে।
সিনহুয়া জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়ক ধসে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। তবে আহতদের কেউ শঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানায় সিনহুয়া।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক নোটিশে বলেছে, এস১২ মহাসড়কের একটি অংশ উভয় দিক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গাড়িচালকদের অন্য পথ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে জননিরাপত্তা, জরুরি প্রতিক্রিয়া, অগ্নিনির্বাপণ এবং খনির উদ্ধার পরিচালনাকারী বিভাগের লোকজন রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসেও গুয়াংডং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা হয়েছিল। সেসময় লক্ষাধিক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।