নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল আযাহা সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজশাহী সিটি পশুর হাট। রোববার ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটবারসহ এখন প্রতিদিনই বসবে পশু হাট। গত এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হওয়া হাটে পশু বেচাকেনা এখন জমজমাট এবং পশুর হাটে বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। ঘনিয়ে আসছে ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। বাড়ছে ক্রেতা সমাগম।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম বেশি। তবে খামারিদের দাবি, গোরুর খাদ্যে বেশি খরচ হওয়ায় বাড়তি গরুর দাম। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজশাহী সিটি পশুর হাট। সোমবার (২৬ জুন) জেলার হাটের দৃশ্য বলছে, হাটে হাটে এখন ঈদের আমেজ। কোরবানির পশু কিনতে ছুটছেন ক্রেতারা। আর মাত্র দুদিন পরই ঈদুল আজহা। তাই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট।
দীর্ঘদিনের পরিচর্যায় লালন করা সব গরু হাটে তুলছেন খামারিরা। ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর প্রতিটি হাট। জেলা সদর রাজশাহীর সিটি হাট ঘুরে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে ছোট-বড় পরিবহনে করে হাটগুলোতে গরু নিয়ে আসছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পছন্দ করে কাঙ্ক্ষিত পশু কিনতে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। সব ধরনের গরু থাকলেও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদাই বেশি। ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম বেশি। বিশেষ করে ছোট গরুর দাম চড়া। তবে শেষের দিকে দাম কিছুটা কমার আশা তাদের।
রাজশাহীর এক ক্রেতা বলেন, গরুর দাম বাজেটের চেয়ে বেশি। সে তুলনায় ছাগলের দাম কম। গত বছর যে গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকার উর্ধে। আর খামারিদের দাবি, গো-খাদ্যে বেশি খরচ হওয়ায় দাম বেশি। তবে ভারতীয় গরু না থাকায় শেষ পর্যন্ত ভালো ব্যবসার আশা ব্যবসায়ীদের। রাজশাহীর এক গরু খামারি বলেন, এ বছর গরুর খাবার, ওষুধসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। তাই গরুর দাম কিছুটা বাড়তি। তবে ক্রেতারা সেটি বুঝতে চাইছেন না।