১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার ও শনিবার। শুক্রবার (১২ জুলাই) স্কুল পর্যায়ে এবং শনিবার (১৩ জুলাই) কলেজ পর্যায়ে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী। অর্থাৎ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে প্রিলিতে পাস করেও লিখিত পরীক্ষা দেননি তারা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনে স্কুল পর্যায় ও স্কুল-২ পর্যায়ের এবং দ্বিতীয় দিনে কলেজ পর্যায়ের প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। দুদিনে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় মোট প্রার্থী (প্রিলিতে উত্তীর্ণ) ছিলেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৮৩ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৫ জন। বাকি এক লাখ ৩০ হাজার ১৮৮ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, শনিবার কলেজ পর্যায়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন। তার মধ্যে অংশ নিয়েছেন এক লাখ ৬২ হাজার ১৭৯ জন। উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৬৬ হাজার ৬৩৪ জন। বহিষ্কার হয়েছেন ৬ জন।
এর আগের দিন (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত স্কুল পর্যায় ও স্কুল-২ পর্যায়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন দুই লাখ ৫১ হাজার ১৭০ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৮৬ হাজার ৭১৬ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬৪ হাজার ৪৫৪ জন। উপস্থিতির হার ৭৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বহিষ্কার হয়েছেন ৩ জন।
পরীক্ষার্থী ও এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সিলেট ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষার দিন সকালে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পেরে পরীক্ষা দিতে পারেননি। এ কারণে এবার অন্যবারের তুলনায় অনুপস্থিতি বেশি।
এনটিআরসিএর উপসচিব আবদুর রহমান জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো ধরনের প্রশ্নফাঁস বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, উপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলে ৭০ শতাংশ এবং তার উপরে উপস্থিতি খুব খারাপ না। বিরূপ আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে হয়ত কিছু পরীক্ষার্থী অংশ নেননি।
গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। এরমধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন।