নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে সাঁওতাল বিদ্রোহের মহানায়ক সিধু ও কানুর স্মরণে ১৬৮তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন করা হয়েছে। বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষে দুপুরে গোদাগাড়ী কাঁকনহাট পৌরসভা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ৩০ জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। এ বছর সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামের নাম সাঁওতাল বিদ্রোহ, আর এ দিনকে স্মরণ করে পালিত হয় এ দিবস। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক ২ বছর আগে ১৮৫৫ তে ঘটে যাওয়া এ বিদ্রোহই ছিল ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম আন্দোলন। আজ থেকে ১৬৭ বছর আগে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চার ভাই সিদু-কানহু-চান্দ ও ভাইরোর নেতৃত্বে তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাঁওতালরা তির-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিল বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা মারা যান। সাঁওতাল বিদ্রোহের লেলিহান শিখা ব্রিটিশ সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধে সিদু-কানহু-চান্দ ও ভাইরো পর্যায়ক্রমে নিহত হলে ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক আকবারুল হাসান মিল্লাত। রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কাঁকনহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ আল মামুন, বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সদস্য শেলী প্রিসিল্লা বিশ্বাস, সিসিবিভিও রাজশাহীর সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, গোদাগাড়ী থানা পারগানা বাইসির থানা পারগানা বাবুলাল মুরমু, আদিবাসী মুক্তিমোরচা রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি ভাদু বাস্কে, গোদাগাড়ী রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতা সিষ্টি টুডু।
আজ ৩০ জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। এ বছর সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামের নাম সাঁওতাল বিদ্রোহ, আর এ দিনকে স্মরণ করে পালিত হয় এ দিবস। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের ঠিক ২ বছর আগে ১৮৫৫ তে ঘটে যাওয়া এ বিদ্রোহই ছিল ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম আন্দোলন। আজ থেকে ১৬৭ বছর আগে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চার ভাই সিদু-কানহু-চান্দ ও ভাইরোর নেতৃত্বে তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাঁওতালরা তির-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিল বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা মারা যান। সাঁওতাল বিদ্রোহের লেলিহান শিখা ব্রিটিশ সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধে সিদু-কানহু-চান্দ ও ভাইরো পর্যায়ক্রমে নিহত হলে ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক আকবারুল হাসান মিল্লাত। রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কাঁকনহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ আল মামুন, বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সদস্য শেলী প্রিসিল্লা বিশ্বাস, সিসিবিভিও রাজশাহীর সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, গোদাগাড়ী থানা পারগানা বাইসির থানা পারগানা বাবুলাল মুরমু, আদিবাসী মুক্তিমোরচা রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি ভাদু বাস্কে, গোদাগাড়ী রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতা সিষ্টি টুডু।