জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া সবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবারই নিহতদের কথা স্মরণ করি বা আহতদের দেখি ততবারই তাদের স্বপ্ন বাস্তায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। এই প্রতিজ্ঞা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবই।
৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ, এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাত ছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।
তিনি আরও বলেন, একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট খেলার কথা তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি?
‘কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার স্বপ্ন থেকে দূরে সরে গেলে স্মরণ করিয়ে দেওয়া আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমরা নিজ নিজ চিন্তায় অনড় থাকো। যে যত পরামর্শ দিক এটা থেকে বেরিয়ে আসার। এই পরামর্শ তোমরা গ্রহণ করো না। তোমাদের চিন্তা স্বচ্ছ, তোমাদের চিন্তা সঠিক।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেবে যদি আমরা এই স্বপ্ন থেকে দূরে সরার কোন কাজ করি। আমাদের কারো কোন ইচ্ছে নাই এই স্বপ্নের বাইরে যাওয়ার। স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে সার্বক্ষণিক কাজ। তবে কোনো কারণে যদি আমরা সীমা অতিক্রম করি কোথাও, আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিও।