রাজশাহী বনসাই সোসাইটির আয়োজনে ৩দিন ব্যাপী ২২তম বার্ষিক বনসাই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরভবনের গ্রীন প্লাজা চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বনসাই প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক মহোদয় বলেন, বনসাই এটি একটি জীবন্ত ভাস্কর্য। একটি গাছকে অতি কাছে থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখা বনসাই। নগর সভ্যতার বিকাশের অনেক আগেই এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে, রয়েছে এর নানান ইতিহাস। চীন ও জাপানের প্রাচীন ইতিহাসে এই শিল্প চর্চার প্রমাণ মেলে। এটি বহু বছরের পুরণো একটি শিল্প। বনসাই শুধু শখের নই এটি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি গাছ অনেক দামে বিক্রি হয়। এই শিল্পের একটি বড় মার্কেট রয়েছে। এই ধরণের প্রদর্শনীর আয়োজন করাই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এর আগে প্রদর্শিত বিভিন্ন প্রজাতির বনসাই গাছ পরিদর্শন করেন তিনি।
রাজশাহী বনসাই সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ-ই-তৌহিদ টুটুর সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যহুর আলী, রাজশাহী বনসাই সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার মুর্শেদ, রাজশাহী বনসাই সোসাইটির সহ-সভাপতি রেহানা চৌধুরী। প্রদর্শনী ৭- ৯ নভেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। রাজধানী সাইকেল ও লুমিনাস প্রোপার্টিস সহযোগিতায় আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ১৮ জন শিল্পীর ৪০ প্রজাতির গাছ রয়েছে সর্বমোট ২৩৫টি বনসাই গাছ স্থান পেয়েছে।
উল্লেখযোগ্য গাছের মধ্যে বট, পাইকর, লাইকর, শ্যাওড়া, ঘুর্নিবীচি, তমাল, বৈচি, জিলাপি, তেঁতুল, কামিনী, ফাইকাস প্রজাতির মধ্যে বেনজামিনী, রেচুসা, রামফি, লংআইল্যান্ড, গোল্ডেন ভাইরেন্স, বাগান বিলাস, বাওবাব, জেড, চাইনাবট, থাইচেরী, কতবেল, রঙ্গন ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির বনসাই গাছ রয়েছে।