রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার গবেষণা ও প্রবন্ধ জালিয়াতি এবং শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতির অভিযোগ পাওয়া গেছে । এসব শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ সহকারী থেকে সহযোগী আবার কেউ কেউ সহযোগী থেকে অধ্যাপক (প্রফেসর) পদে পদোন্নতি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ( ইউজিসি) শর্ত থাকলেও তা পূরণ না করেই তারা বেতনভাতা তুলছেন নিয়মিত। সম্প্রতি পদত্যাগ করা ভিসি গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপুর আমলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও নানা অভিযোগ। শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতির বিধিবিধান না থাকলেও বিগত আওয়ামী প্রশাসনের অনুগত এবং সাবেক ভিসির আস্থাভাজন হওয়ায় বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব শিক্ষকের পদোন্নতি দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে রাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব সাংবাদিতকদের জানান, কারো জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সেটির কঠোর ব্যবস্থা নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকদের মধ্যে আইন বিভাগের ৫জন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫ জন, ইতিহাসের ১ জন, টুরিজম ও হসপিটালিটির ২ জন, ইনসুরেন্স এর ১ জন, আইইআর এর ২ জন এবং তথ্যবিজ্ঞান ও লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট এর ১ জন শিক্ষক রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ শাসন আমলে একই পন্থায় শতাধিক শিক্ষকের পদোন্নতি হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ সহযোগী থেকে প্রফেসর ও সহকারী থেকে সহযোগী হিসেবে পদোন্নতির জন্য এসব জালিয়াতির সাহায্য নিয়েছেন। সহযোগী হতে প্রফেসর পদে পদোন্নতির জন্য সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ৫ বছর চাকুরীরত বা সক্রিয় অবস্থায় থাকতে এবং এক বা একাধিক গবেষণা একক নামে ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশ করতে হয়। এসমস্ত শিক্ষদের ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউড তো দূরের কথা বিভিন্ন অনলাইলে প্রকাশিত প্রবন্ধ পদোন্নতির জন্য যুক্ত করেছেন। এসব শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত প্রশাসনের অত্যান্ত অনুগত নামে পরিচিত। অভিযোগ আছে তাঁরা আগের ভিসিকে ম্যানেজ করে শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতি নিয়েছেন যা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির পদোন্নতিবিধির সর্ম্পণ পরিপন্থী।
সূত্রমতে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ২০২১ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতি বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক হতে প্রফেসর পদে পদোন্নতির শর্তে বলা হয়েছে পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ বছরসহ নূন্যতম ১২ বছরের সক্রিয় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকতে হবে। আরও বলা হয়েছে সকল ক্ষেত্রে প্রার্থীকে স্বীকৃতি জার্নালে (পিয়ার রিভিউড) নূন্যতম ১২ টি প্রকাশনা থাকতে হবে। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে প্রকাশনা থাকতে হবে ৩ টি এবং সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ৬ টি প্রকাশনা থাকতে হবে। এর মধ্যে তিনটি প্রকাশনা একক নামে থাকতে হবে। মোট প্রকাশনার মধ্যে ২ টি প্রকাশনা ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর/ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মোট প্রকাশনার অন্তত একটি প্রকাশনা ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর/ইনডেক্স জার্নাল হতে হবে। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর অর্থ হলো কোনো জার্নালের মান নির্ধারণ পদ্ধতি। প্রতিবছর জার্নালের সাইটেশন সংখ্যা গণনা করে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ওইসব শিক্ষকদের কেউই নীতিমালা অনুয়ায়ী পদোন্নতির আবেদন করতে পারেন না। বিগত প্রশাসনের আমলে অবৈধভাবে শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতির পাওয়া কোনো শিক্ষকের উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পদোন্নতি না পাওয়ায় তাদের শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতি দিয়েছে। উপরন্তু তাঁরা পদোন্নতির শর্ত পূরণের তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এসব শিক্ষক বিগত প্রশাসনের আস্থাভাজন ও আর্থিক বিনিময়ে এই পদোন্নতি নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। বিগত প্রশাসন এইসব বিষয়ে অবগত থাকলেও তাদের বর্ধিত বেতন ভাতা বন্ধের বা প্রতারণার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, উদ্ধৃতি বা উল্লেখ ছাড়া নিজের জবানিতে অন্যের ভাষার সরাসরি ব্যবহার চৌর্যবৃত্তি হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং গবেষকের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁরা বলেন, একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত ওই সব শিক্ষকদের প্রবন্ধের সঙ্গে কয়েকটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের লেখা গবেষণা বইয়ের বেশ কিছু অংশের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষকের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন লেখকের লেখা কপির প্রমাণও সময়ের আলোসহ মিডিয়াকর্মীদের হাতে এসেছে।
অপরদিকে কিছু শিক্ষকের গবেষণা প্রবন্ধের রচনাচুরি অভিযোগ রয়েছে যা ‘প্লেজিয়ারিজম’ চেকিং এ ধরা পড়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের গত প্রশাসন কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিশাল সংখ্যক শিক্ষকদের অবৈধ পন্থায় এই পদোন্নতি দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, উদ্ধৃতি বা উল্লেখ ছাড়া নিজের জবানিতে অন্যের ভাষার সরাসরি ব্যবহার চৌর্যবৃত্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে গবেষকের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।উল্লেখ্য, যারা কিছু প্রবন্ধ জমা দিয়েছে শর্তানুযায়ী সেগুলোর অধিকাংশই ৮০ শতাংশেরও বেশি প্লেজিয়ারিজমে আক্রান্ত। যেমন গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকের একাধিক প্রবন্ধে প্রায় ৯৩ শতাংশ প্লেজিয়ারিজম ধরা পড়ছে টার্নিটীন প্লেজিয়ারিজম চেকারে। আবার একই বিভাগের কয়েক জন শিক্ষক কোনো পিয়ার রিভিউড বা ইনডেক্সডধারী জার্নালের কোনো গবেষণা প্রবন্ধও জমা দিতে পারেনি।
সম্প্রতি প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে প্রকাশনা জালিয়াতির মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদোন্নতির জন্য তিনি জমা দিয়েছেন ৮টি গবেষণা প্রবন্ধ, তবে সবকটিতেই পাওয়া গেছে চৌর্যবৃত্তি প্রমাণ। জানা গেছে, মো. সাহাল উদ্দিনের জমাকৃত সহযোগী অধ্যাপকের জন্য ২টি ও অধ্যাপক পদের পদোন্নতির জন্য ৬টি প্রকাশনার সব কয়টিতেই চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ মিলেছে। একটি প্রকাশনায় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৈধ হলেও, তিনি তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধে ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত প্লেজিয়ারিজম করেছেন।
এছাড়া ইতোপূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারু শিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজাদী পারভিন তার পিএইচডি থিসিস পেপার জালিয়াতির অভিযোগে উঠলে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অপর দিকে আরবি বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপক । আইন বিভাগের এক অধ্যাপক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রয়েছেন বলে জানা গেছে এক সূত্রে।
এই বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, গবেষণা ও প্রবন্ধ জালিয়াতি করে পদোন্নতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শর্ত মেনেই সিলেকশান কমিটি আমাদের পদোন্নতি দিয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের শর্ত সাপেক্ষে পদোন্নতি হয়ে থাকে। এটা কোন দোষের নয়।
রাবির আইইআর এর শিক্ষক ও শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক এন এ এম ফাইসাল আহম্মেদ বলেন, , বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে আমার পদোন্নতি হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতি এটা কোন দোষের নয়। ওই সময় আমার বেশ কয়েকটা গবেষনা প্রবন্ধ জার্নাালে প্রকাশের অপক্ষোয় ছিল। প্রকাশের পর তা জমা দিয়েছি। বর্তমানে আমার অনেক প্রকাশনা আছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপকের চেয়েও বেশি। তাছাড়া এক একেটা জর্নাাল প্রকাশ হতে বেশ কিছু সময় লাগে। এই জন্য শর্ত জুড়ে দেন সিলেকশান বোর্ড।
আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর মাহফুজুর রহমান মামুন বলেন, পদোন্নতিপ্রাপ্তির এক বছরের মধ্য ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশের শর্ত ছিল তা প্রকাশিত হয়েছে। তবে আমি এখনো জমা দেয়নি। পরবর্তী প্রমোশনের আগ পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যায়। তবে আমি প্রবন্ধ তৈরি করেছি জমা দেব। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়মে এর আগেও এভাবে পদোন্নতি হয়েছে। এখানে ইউজিসি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার কোন প্রকার লঙ্ঘন হয়নি।
শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার সময়ের আলোকে জানান, সিলেকশান বোর্ডের শর্ত অনুযায়ী আমি পদোন্নতি পেয়েছি। শর্ত অনুযায়ী আমি প্রকাশিত প্রবন্ধ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছি। আমার মনে হয় এটা কোন অপরাধ নয়। দীর্ঘ সময় ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতির একটা চর্চা আছে। সেই চর্চা থেকে আমার হয়েছে। এই বিষয়ে সিলেকশান বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে। প্লেজিয়াইরজম বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল না।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বকুল সময়ের আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতি ইতোপূর্বেও হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমার পদোন্নতিও হয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে পদোন্নতি এটা কোন দোষের নয়। ওই সময় আমার বেশ কয়েকটা গবেষনা প্রবন্ধ ফ্যাকাণ্টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাালে প্রকাশের অপক্ষোয় ছিল। পরে শর্ত অনুযায়ী আমি এক বছরের মধ্যেই প্রকাশিত গবেষণা ও প্রবন্ধ জমা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্লেজিয়ারিজম এর যে অভিযোগ তা একেবারেই সঠিক নয়। গবেষনা প্রবন্ধ কোন জার্নালে প্রকাশের আগেই তা চেকিং করতে হয়। কোন জার্নালে ওই গবেষনা প্রবন্ধ একবার নিজের নামে প্রকাশিত হলেও পরে তা ফ্যাক্ট চেকিং এ প্লেজিয়ারিজম ধরা পড়ে। সত্য কথা বলতে কি একটা চক্র আমার সম্মানহানি করা ও আমাকে ফাঁসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
রাবির উপ উপাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফরিদ খান এ সম্পর্কে সময়ের আলোকে বলেন, আমি এই বিষয়ে শুনেছি। বিষয়টি মিটিং এ উপস্থাপন হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অবৈধ পন্থায় শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতির কোনো বিধানই নাই। পদোন্নতির শর্তপূরণ হলেই কেবল প্ল্যানিং কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ করতে পারে। তবে ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে কিছু পদোন্নতির ব্যাবস্থা আছে। অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কেউ যদি পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন এবং তা যদি প্রমানিত হয় তাহলে অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব সময়ের আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের শর্ত সাপেক্ষে পদোন্নতির বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া গবেষণা ও প্রবন্ধ জালিয়াতি কেউ পদোন্নতি নিয়ে থাকলে এবং জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সেটির কঠোর ব্যবস্থা নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই ক্ষেত্রে যদি কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ করে তবে সেটি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষা নিয়ে কোন প্রকার দুর্ণীতি ও জালিযাতি মেনে নেওয়া হবে না। সে যেই হোন না কেন।
তিনি আরও বলেন, একটি অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। যদি আরও অভিযোগ থাকে তাহলে সেগুলো নিয়েও তদন্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক সোনালী রাজশাহী / শরিফুল ইসলাম
দৈনিক সোনালী রাজশাহী / শরিফুল ইসলাম