নিউজ কলকাতা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে শনিবার ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও সহিংসতায় লাগাম টানা যায়নি। মূলত রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে সংঘাত হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রাণ বাঁচাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভোট কর্মীরা বুথ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আগামী বছর ভারতে লোকসভা নির্বাচন হবে। তার আগে এই নির্বাচন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভোটে প্রায় সব জেলা থেকেই ব্যাপক বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, ব্যালট পেপার লুট, বুথ দখল করে সিল দেওয়া, এমনকি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
সহিংসতায় নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই তৃণমূলের কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নদিয়ায় একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সের দখল নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘাত শুরু হলে বুথের মধ্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পৌঁছলেও তাদের ঠিকমতো মোতায়েনই করা হয়নি বলে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, এদিন তাদের কর্মী-সমর্থকরাই বেশি মারা গেছেন।
রাজ্যের ৬১ হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে গোটা পঞ্চাশেক বুথে সহিংসতা হয়েছে বলে তাদের দাবি। তারাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে দোষারোপ করে বলেছে, তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। গোটা রাজ্যে এক দফাতেই এই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। রাজ্যের ২২ জেলার মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তরীয় ভোট (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি) এবং বাকি জেলাগুলোতে ত্রিস্তরীয় (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ) ভোট হচ্ছে। ইতোমধ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গড়ে ১০ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট নেওয়া হচ্ছে মোট ৭৩ হাজার ৮৮৭ আসনে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩১৭টি গ্রামসভার ৬৩ হাজার ২২৯ আসন; ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ৭৩০ আসন এবং ২২ জেলা পরিষদের ৯২৮ আসন। প্রায় ২ লাখের বেশি প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে এই ভোটে। এদিকে ভোট শুরুর আগেই জেলায় জেলায় ব্যাপক সহিংসতায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৫ জন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকে গত এক মাসে ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সূত্র সোনালী সংবাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রাণ বাঁচাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভোট কর্মীরা বুথ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আগামী বছর ভারতে লোকসভা নির্বাচন হবে। তার আগে এই নির্বাচন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভোটে প্রায় সব জেলা থেকেই ব্যাপক বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, ব্যালট পেপার লুট, বুথ দখল করে সিল দেওয়া, এমনকি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
সহিংসতায় নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই তৃণমূলের কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নদিয়ায় একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সের দখল নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘাত শুরু হলে বুথের মধ্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পৌঁছলেও তাদের ঠিকমতো মোতায়েনই করা হয়নি বলে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, এদিন তাদের কর্মী-সমর্থকরাই বেশি মারা গেছেন।
রাজ্যের ৬১ হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে গোটা পঞ্চাশেক বুথে সহিংসতা হয়েছে বলে তাদের দাবি। তারাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে দোষারোপ করে বলেছে, তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। গোটা রাজ্যে এক দফাতেই এই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। রাজ্যের ২২ জেলার মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তরীয় ভোট (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি) এবং বাকি জেলাগুলোতে ত্রিস্তরীয় (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ) ভোট হচ্ছে। ইতোমধ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গড়ে ১০ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট নেওয়া হচ্ছে মোট ৭৩ হাজার ৮৮৭ আসনে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩১৭টি গ্রামসভার ৬৩ হাজার ২২৯ আসন; ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ৭৩০ আসন এবং ২২ জেলা পরিষদের ৯২৮ আসন। প্রায় ২ লাখের বেশি প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে এই ভোটে। এদিকে ভোট শুরুর আগেই জেলায় জেলায় ব্যাপক সহিংসতায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৫ জন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকে গত এক মাসে ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সূত্র সোনালী সংবাদ।