সোনালী রাজশাহী : গাছকে প্রকৃতির প্রাণভোমরা উল্লেখ করে রাজশাহীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের সাধ্যমতো গাছ লাগাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসায় আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার সার্বিক সহযোগিতায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন,
গাছ হচ্ছে প্রকৃতির প্রাণভোমরা, গাছের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জীবন ও মরণের !
গাছ কার্বনডাই অক্সাইড শ্বাস নেয় এবং বিশুদ্ধ ও তাজা অক্সিজেন ত্যাগ করে। যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন। আমাদের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে গাছ অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাসও শোষণ করে। এ কারণেই বেশি সংখ্যক গাছ আছে এমন এলাকায় দুষণ কম। সুতরাং আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশকে শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে বেশি মাত্রায় গাছ লাগাতে হবে। রাজশাহীর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও বেশি করে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বাদশা বলেন, ‘যদিও রাজশাহী অনেক সবুজ ও সতেজ শহর, তবুও বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথার রেখে আমাদের বেশি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বিভিন্ন রকম ফুলের বাগান, গাছ-পালা আছে; যা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিবেশকে আরো অনেকাংশে সতেজ করে।
তারপরেও প্রতিষ্ঠানে যদি কোন ফাঁকা জায়গা থাকে, যা কোন কাজে আপাতত ব্যবহার হচ্ছে না- এমন স্থানগুলোকে ফাঁকা না রেখে গাছ লাগানো যেতে পারে। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন। কারণ, আমরা যত বেশি গাছ লাগাবো, প্রকৃতি তত বেশি ভালো থাকবে। আর আমাদের ভালো ও সুস্থ্য থাকার জন্য প্রকৃতির ভালো থাকা অপরিহার্য!’ এসময় কর্মসূচির প্রধান অতিথি এমপি বাদশাসহ অন্যান্য অতিথিরা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একটি কটি করে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে নিজ বাড়িতে নিয়ে লাগানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের হাতে একটি করে মোট দুই শতাধিক আম ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ৳
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার ম্যানেজার আব্দুল্লাহ মাহমুদ সিদ্দিকী, দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোর্শেদ মঞ্জুর হাসান, অধ্যক্ষ ডা. এইচএম শহিদুল ইসলাম, দিগন্ত প্রসারী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হকসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।