রাজশাহীতে গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এক স্কোয়াড্রন লিডারের (মেজর) বাসাবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মিঠুন কুমার (২৩)। তিনি জেলার বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী বড়কয়া এলাকার শীবেন চন্দ্রের ছেলে। রাজশাহীতে প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। এছাড়া মিঠুন কুমার মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত এবং নিয়মিত মাদক সেবন করতেন বলে জানা গেছে।
আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই শাহ আলম বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে তিনটার দিকে নগরীর সপুরা এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। বাসাটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার (মেজর) মাহফুজুর রহমানের। তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার সময় তার মা মোছা. মুর্শেদা খাতুন এবং ভাতিজা আমানুল্লাহ আমান বাসায় ছিলেন। তার মা মুর্শেদা খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত এবং ভাতিজা আমানুল্লাহ আমান সাংবাদিকতা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোছা. মুর্শেদা খাতুন বলেন, 'এটা চুরি মনে হলেও দুর্বৃত্তরা দুর্ধর্ষভাবে ডাকাতি স্টাইলে ঘটনাটি ঘটিয়েছি। প্রথমে রান্নাঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে সেখান দিয়ে ভেতরে ঢুকে। তার কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল। এছাড়া টেবিলের ওপর বাসার সবজি-তরকারি কাটা বটি (হাসুয়া) রেখেছিল সে, যাতে আমরা দেখে ফেললে বা ঘুম ভাঙলে আমাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। প্রথমে ড্রয়িং রুম থেকে ল্যাপটপ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে নেয়। এরপর আমার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। তবে আমাদের ঘুম ভাঙলে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে গেটের তালা খুলে নিচে যায়। এটা হত্যা করার উদ্দেশ্যই ছিল দুর্বৃত্তদের। দ্রুত পুলিশ না আসলে আরও বড় ধরণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হত। হয়ত আমাকে ও আমার নাতিকে মেরেই ফেলত। আমি এই দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'