রাজশাহীর পুঠিয়ায় অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী অপহরণের ১ মাসেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে উদ্ধার করেননি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীরা বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন পালন করেছেন।
২৭ অক্টোবর উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (২৪) পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনিতে পড়া সামিহাকে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা হতে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করেছিলো উল্লেখ করে ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান মিজান পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একটি মামলা করেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, এক মাসেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে আমার মেয়েটি উদ্ধার করছে না। আমার মেয়েটি জীবিত না মৃত তাও আমারা জানতে পারচ্ছি না। অপহরণ করার পর আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে । পুলিশকে আসামীদের অবস্থান জানানোর পরও তারা আসামীদের আটক করেননি।
অপরদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার আমাকে বলেছেন, আপনার মেয়েকে বিবাহ দিয়ে ঝামেলা মিটমাট করে নেন। সে আসলে সারা দেশে বাল্যবিবাহ প্রথা চালু করার চেষ্টা করছে। আমি ছয়জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছি। সম্প্রতি অন্য আসামীরা জামিনে এসে আমাকে নানারকম হুমকি দিচ্ছেন। থানা পুলিশ নীরব থাকার কারণে আমার পরিবার এবং আমি ভীষণ আতংক উৎকন্ঠার ভিতর দিয়ে দিন অতিবাহিত করছি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মেয়েটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। অন্য আসামীরা হাইকোর্ট হতে জামিন নিয়েছেন।