নিউজ ডেস্ক : অধ্যাপক পান্না কায়সার। বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক এবং রাজনীতিক শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী অধ্যাপক পান্না কায়সার আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি ছিলেন একাধারে লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশুনা করেন। ঊনসত্তরে গণআন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সময়গুলো কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে, মুক্তি, নীলিমায় নীল, হৃদয়ে বাংলাদেশ, মানুষ, অন্য কোনখানে, তুমি কি কেবলি ছবি, রাসেলের যুদ্ধযাত্রা, দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে, আমি, না পান্না না চুনি, অন্য রকম ভালোবাসা ও সুখ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। জানা যায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে তার পরিচয় আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, রাজনীতির সঙ্গে। তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দু’বছর ১০ মাসের মতো।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেন তার দু’সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পান্না কায়সারের দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সার। শমী কায়সার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন।
তিনি ছিলেন একাধারে লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশুনা করেন। ঊনসত্তরে গণআন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সময়গুলো কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে, মুক্তি, নীলিমায় নীল, হৃদয়ে বাংলাদেশ, মানুষ, অন্য কোনখানে, তুমি কি কেবলি ছবি, রাসেলের যুদ্ধযাত্রা, দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে, আমি, না পান্না না চুনি, অন্য রকম ভালোবাসা ও সুখ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। জানা যায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে তার পরিচয় আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, রাজনীতির সঙ্গে। তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দু’বছর ১০ মাসের মতো।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেন তার দু’সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পান্না কায়সারের দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সার। শমী কায়সার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন।