নিউজ বিনোদন: বাংলা চলচিত্রের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান আর নেই। তার নিজ বাসভবনে মারা গেছেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার বাসায় যাপিত নিদ্রা থেকে চিরনিদ্রায় শায়িত হন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। ঘুম থেকে আর জেগে ওঠেননি। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যান বেসরকারি এক হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আগের দিনই ব্রেইন স্ট্রোক করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছিলেন তার জীবনসঙ্গিনী। স্ত্রীর মৃত্যু শোক সইতে না পেরে একদিন পর পৃথিবী ছেড়েছেন প্রখ্যাত পরিচালক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াত বলেন, মঙ্গলবার সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এই শোক সম্ভবত সহ্য করতে পারেননি তিনি। দুদিন আগে চিকিৎসার জন্য তার জাপান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর যাওয়া হয়নি। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বহু সফল চলচ্চিত্রের নির্মাতা। ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। এ শক্তিমান নির্মাতার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামানের মতো তারকারা। হালের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমার পরিচালকও ছিলেন এই বরেণ্য নির্মাতা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে সোহানুর রহমান সোহান টানা দু্ইবার মহাসচিব এবং সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আরেক চলচ্চিত্র নির্মাতা শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। সোহানুর রহমান সোহানের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো– আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বামী ছিনতাই’, আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘স্বজন’, ‘‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ইত্যাদি দু’দিন আগে চিকিৎসার জন্য জাপান যাওয়ার কথা ছিল ঢাকাই সিনেমার এই নির্মাতার। কিন্তু তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর যাওয়া হয়নি জাপানে। হাসপাতালে গেলেন ঠিকই তবে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ার পর। বেঁচে থাকা অবস্থায় যাওয়া হলো না। মনে প্রশ্ন জাগে, সঙ্গীকে কতোটা ভালোবাসলে এমন শূন্য শূন্য লাগে? প্রশ্ন জাগে, মৃত্যু কি তবে নিয়ে আসে সহমরণের সমীকরণ?