নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে ‘সি-প্লেন’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সারা বছর যেতে পারবেন এ প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে। তবে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সীমিত পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ জন্য সব পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্যটকরা। এতে এক সঙ্গে বিপুল পর্যটক ভ্রমণে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। ফলে প্রতিদিন অল্প সংখ্যক পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সি-প্লেন দরকার। তাই দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। তিনি উল্লেখ করেন, সামগ্রিকভাবে কক্সবাজারকে পর্যটন জোন বানানো হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ অঞ্চলকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও আকর্ষণীয় করা হবে। নির্মাণ করা হবে নতুন নতুন স্থাপনা; আরো বেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য কক্সবাজার থেকে মহেশখালী ও টেকনাফ পর্যন্ত কেবল কার চালু করা হবে।
এ ছাড়া সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকোয়ারিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌফলদণ্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম করা হচ্ছে। কমোডর নুরল আবছার বলেন, কক্সবাজারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রশস্তকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। বিদেশি পর্যটকদের সহজ মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সূত্র ইত্তেফাক