নিউজ ডেস্ক: রাজশাহীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মুরাদ আলী নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার ভোর ০৩:৩০ টায় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক স্ত্রী হত্যার অভিযুক্তকে রাজশাহীর পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মো: মুরাদ আলী তার নিজ পিতাকে হত্যার দায়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রি. গ্রেফতার হয়ে রাজশাহী কারাগারে ছিল। গত একমাস আগে সে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসে। মো: মুরাদ আলী তার স্ত্রী শিলা বেগমের পৌতৃকসূত্রেপ্রাপ্ত ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে সেই টাকা তাকে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু শিলা বেগম সেই জমি বিক্রি করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে।
এ বিষয় নিয়ে মো: মুরাদ আলী তার স্ত্রী শিলা বেগম-কে প্রায় মারপিট করতো। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. রাত আনুমানিক ১১:৩০ টায় মো: মুরাদ আলী তার স্ত্রী শিলা বেগম-কে তাদের শয়নকক্ষে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ বাড়ির আঙ্গিনার কলঘরে ফেলে রাখে। এই ঘটনার পর হতেই অভিযুক্ত মো: মুরাদ আলী পলাতক ছিলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৫ বছর আগে মৃত শিলা বেগমের সাথে মো: মুরাদ আলী কারিগরের উভয় পরিবারের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে তাদের সংসারে প্রায় অশান্তি লেগে থাকতো।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃত শিলা বেগমের ভাই মো: দুলাল হোসেন বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. রাজশাহীর চারঘাট থানায় একটি নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১১(ক)/৩০ ধারায় একটি মামলা রুজু করান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চারঘাট থানা পুলিশ রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করলে অভিযুক্ত মো: মুরাদ আলী কারিগর পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত মো: মুরাদ আলী কারিগর রাজশাহীর পুঠিয়া বাসস্ট্যাণ্ডের আশে-পাশে অবস্থান করছে।
এমন সংবাদ প্রাপ্তির পর রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জনাব সনাতন চক্রবর্তীর নির্দেশে পুঠিয়া থানা পুলিশ আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. ভোর ০৩:৩০ টায় অভিযুক্ত মো: মুরাদ আলী কারিগর-কে রাজশাহীর পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড হতে গ্রেফতার করে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তের নাম মো: মুরাদ আলী কারিগড় (৪০)। সে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার তাতারপুর কারিগড়পাড়ার মৃত সাদেক আলী কারিগরের পুত্র।
উল্লেখ্য, পিতা সাদেক আলী কারিগরের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে ইতিপূর্বে অভিযুক্ত মো: মুরাদ আলী কারিগরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছিল।