রাবি প্রতিনিধি : সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সনাতনী শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ। আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১ টাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনু মোহন বাপ্পার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়পর উপ - পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হরিপ্রসাদ সিংহ, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক. ড জান্নাতুল ফেরদৌস,মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমিক কুমার দত্ত। উপ -পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক হরিপ্রসাদ সিংহ বলেন,বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় হিন্দুরাই এদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আজকে আমরা মার খাচ্ছি গুটিকয়েক মানুষের উসকানির কারণে। আমরা জানি বাঙালি ধর্মান্ধ না,তারা বিবেক দিয়ে সবকিছুর বিচার বিবেচনা করবে। হিন্দু ধর্ম সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। আমরা সকল ধর্মের সাথে সুন্দরভাবে বসবাস করতে চাই।
অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশে যারা জন্মগ্রহন করেছে তারা সবাই ভাই ভাই। ধর্মের লেবাসধারীরা আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।২০০১ সাল থেকে সংখ্যালঘুর নাম দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর দূষ্কৃতকারীরা আক্রমণ করছে। ছোটকালে আমরা পূজা দেখতে যেতাম কিন্তু বর্তমান সময়ে ধর্ম দিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করে তারা আমাদের শৈশবের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। সংখ্যালঘু বলে কাউকে বিভাজন করা যাবে না।আমরা সবাই এই দেশে একসাথে বসবাস করতে চাই। এই দেশে কেউ সংখ্যালঘু না। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা একাই যুদ্ধ করি নাই,সবাই যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি, তাই দেশটা সবার।
সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত বলেন,, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারের মদদে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করবে বলে আমাদের সান্ত্বনা দেয়,অথচ ক্ষমতায় যাওয়ার পর তারা সব ভুলে যায়।আমাদের ধর্ম বিশ্বাসকে কটুক্তি করে অন্য ধর্মাবলম্বীরা বারবার আমাদের উপর আক্রমণ করে।