_______________________________________________
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জন্মশতবর্ষ স্মারক 'তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো' গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবিকুঞ্জ, রাজশাহীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহ মখদুম কলেজ মাঠে এই প্রকাশনা উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে কবিকুঞ্জ প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সুযোগ্যপুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে 'তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো' গ্রন্থের স্মারক তুলে দেন কবিকুঞ্জের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জমিদার ও ধ্বনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি নিজেকে সাধারণের কাতারে নামিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে গিয়েছিলেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর তাঁকে হত্যার পর তাঁর দুইটি ব্যাংক একাউন্টে মাত্র ৭ হাজার ২৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। অথচ তিনি চাইলে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন। রাসিক মেয়র মহোদয় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে দেশ অনেক আগেই আরো এগিয়ে যেত। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর দেশের ২১টি বছর নষ্ট হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
সুখের বিষয় পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে দেশের হাল ধরেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। কবিকুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান, রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক রবীন্দ্রগবেষক ও অর্থনীতিবিদ সনৎ কুমার সাহা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, কবি জুলফিকার মতিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কবিকুঞ্জ, রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুর হক কুমার।
রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানকে উত্তরের নক্ষত্র বলে অবিহিত করছিলেন। তাঁর প্রতি আমাদের দায় রয়েছে। বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে স্মারণের মাধ্যমে তাঁকে বারবার উদ্ভাসিত করতে হবে। তাঁর সম্পর্কে জানতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে। 'তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো' গ্রন্থটি ইতিহাসের নিরিখে লেখা হয়েছে, তাই এটি ইতিহাস জানতে সহায়তা করবে। রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জাতীয় জীবনের ধ্রবতারা। তাঁর প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে বিশ্বাস ছিল, তা অতুলনীয়। তিনি ছিলেন মহান নেতা। সত্যিকারের ধ্রবতারা। তাই গ্রন্থটির নামকরণ স্বার্থক হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে দেশাত্ব¥বোধক গান পরিবেশন সুর নিকেতন সঙ্গীত বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জন্মশতবর্ষ স্মারক 'তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো' গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবিকুঞ্জ, রাজশাহীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহ মখদুম কলেজ মাঠে এই প্রকাশনা উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে কবিকুঞ্জ প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সুযোগ্যপুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে 'তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো' গ্রন্থের স্মারক তুলে দেন কবিকুঞ্জের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জমিদার ও ধ্বনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি নিজেকে সাধারণের কাতারে নামিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে গিয়েছিলেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর তাঁকে হত্যার পর তাঁর দুইটি ব্যাংক একাউন্টে মাত্র ৭ হাজার ২৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। অথচ তিনি চাইলে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন। রাসিক মেয়র মহোদয় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে দেশ অনেক আগেই আরো এগিয়ে যেত। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর দেশের ২১টি বছর নষ্ট হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
সুখের বিষয় পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে দেশের হাল ধরেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। কবিকুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান, রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক রবীন্দ্রগবেষক ও অর্থনীতিবিদ সনৎ কুমার সাহা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, কবি জুলফিকার মতিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কবিকুঞ্জ, রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুর হক কুমার।
রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানকে উত্তরের নক্ষত্র বলে অবিহিত করছিলেন। তাঁর প্রতি আমাদের দায় রয়েছে। বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে স্মারণের মাধ্যমে তাঁকে বারবার উদ্ভাসিত করতে হবে। তাঁর সম্পর্কে জানতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে। 'তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো' গ্রন্থটি ইতিহাসের নিরিখে লেখা হয়েছে, তাই এটি ইতিহাস জানতে সহায়তা করবে। রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জাতীয় জীবনের ধ্রবতারা। তাঁর প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে বিশ্বাস ছিল, তা অতুলনীয়। তিনি ছিলেন মহান নেতা। সত্যিকারের ধ্রবতারা। তাই গ্রন্থটির নামকরণ স্বার্থক হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে দেশাত্ব¥বোধক গান পরিবেশন সুর নিকেতন সঙ্গীত বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।