শারদীয় দুর্গোৎসব: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে দূর্গা পূজা। শুক্রবার সকাল থেকে কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হবে এবারের দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
এদিন ষষ্ঠী, সায়ংকালে দুর্গাদেবীর বোধন, আমন্ত্রণ এবং অধিবাস হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চারিদিকে সাজ সাজ রব উঠেছে, রাজশাহীসহ সারাদেশে চলছে উৎসবের আমেজ। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মন্ডবের শিল্পীরা। সৌন্দর্য বর্ধনে তিল পরিমান ছাড় দিতে নারাজ তারা । মন্ডপে চলছে দুর্গাপূজার একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় যেন দম ফেলার ফুসরত নেই ভাস্কর বা প্রতিমা শিল্পীদের। ভাস্করদের নিপুণ হাতের জাদুর ছোয়ায় তৈরি হওয়া মা দেবী দুর্গা, যেন পূর্ণতা পাচ্ছে ।
বোধন মানে জাগ্রত করা বা জাগানো। বোধন হয় বেল গাছের তলায়। দেবতারাও বেল গাছের তলায় বোধন করেছিলেন। এ গাছের অন্য নাম শ্রীবৃক্ষ। শ্রী অর্থ সম্পদ বা সৌন্দর্য। তাই পুরোহিতরা সম্পদ বা সৌন্দর্য বা সংসারের উন্নতির জন্য, জ্ঞান-ভক্তি লাভের জন্য বেল গাছের মূলে দুর্গাপূজার বোধন করেন। সনাতন ধর্ম মতে, যা কিছু দুঃখ-কষ্টের বিষয়, যেমন- ভয়, ভীতি, দুঃখ-কষ্ট, চলার পথে অসান্তি এসব থেকে মা দুর্গা ভক্তকে রক্ষা করেন । দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি সবার কষ্ট দূর করেন। দূর্গা দেবীর আগমনের ঘণ্টা বাজে মহিলয়াতেই, আর বিজয়া দশমী হচ্ছে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। এই দিনটি শেষ হয় মহা-আরতির মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
আগামী শনিবার (২১ অক্টোবর) মহাসপ্তমী, রবিবার (২২ অক্টোবর) অষ্টমী, সোমবার (২৩ অক্টোবর ) মহানবমী এবং মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দশমীর মাধ্যমে বিদায় নেবেন মা দুর্গা । এদিকে, দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে। রাজশাহী মহানগরীর সবকটি পূজামণ্ডপের কাজ পুরোদমে চলছে। ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় আলোকসজ্জার কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু মণ্ডপের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।