বিনোদন ডেস্ক: পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে সিনেমা হলে ‘মুজিব’ বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী। পরিবারের ছোট থেকে বড় সব বয়সের সদস্যকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার' দেখেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হলে সিনেমাটি দেখা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ নিয়ে আমার পঞ্চমবার ছবিটি দেখা হলো। সিনেমাটি বানানোর সময় দুবার দেখেছি। টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একবার দেখেছি, তারপর প্রিমিয়ার শো-তে দেখেছি, আর আজ বাচ্চাদের নিয়ে হলে এসেছি।’ ‘সিনেমাটি সবার দেখা প্রয়োজন। আমি বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। কারণ, মুখে বলে ইতিহাস জানানো যায়, কিন্তু সেটি যখন ছবিতে দেখা হয়, তখন তা হৃদয়ে গেঁথে যায়। এ জন্য নতুন প্রজন্মের ও সবার সিনেমাটি দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
সিনেমা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত এই সিনেমার নামই বলে দেয় ছবিতে কী দেখাচ্ছে। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’, ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’। এই ছবিটি দেখলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু কীভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে, বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল ছিলেন, কীভাবে তিনি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দৃঢ়চিত্তে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’ বায়োপিকটির বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে তিন ঘণ্টার মধ্যে দেশের ইতিহাস সংক্ষেপে জানা, কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এলো, বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন, সেটি এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।’
১৩ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহের প্রায় ২০০ পর্দায় দেখা যাচ্ছে ভারতের শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর এ চলচ্চিত্র। বর্তমানে সিনেমাটি দেখতে সারা দেশের ৬৪টি জেলার ১৬৪টি প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।