নিউজ ডেস্ক:সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মহা ধূমধামের সঙ্গে শুরু হয়ে গেল দুর্গা পুজো ২০২৩। মহালয়া থেকেই উত্সবের আবহ শুরু হলেও খাতা কলমে ২০ অক্টোবর ২০২৩ মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এ বছরের দুর্গা আরাধনা।
দেশে যখন হিন্দু ধর্মের এই মহোৎসব চলছে তখন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পূর্বের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যেমন: দূর্গা পূজার সময় কুমিল্লা সহ দেশের অনেক জায়গায় মন্দির বাড়িঘরে হামলা,রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা,গোপালগঞ্জে গির্জায় বোমা হামলা ইত্যাদি মনে করিয়ে দিয়ে শান্তির বার্তা শোনাচ্ছে রাজশাহীর তরুণরা। বলছিলাম দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর অঙ্গসংগঠন ইয়ুথ এম্বাসেডরদের কথা। এখানে সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্রনেতারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শান্তি আনয়নে কাজ করে থাকে। ইয়ুথ এম্বাসেডর গ্রুপ রাজশাহীর (বহুদলীয় ছাত্রনেতাদের সম্প্রীতির নেটওয়ার্ক) উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপূজা পালনে সহায়তা করতে ও ধর্মীয় বিদ্বেষ,ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত,সহিংসতা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিভিন্ন মন্দির, মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি প্রদানের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
এতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শান্তির বার্তা,সম্প্রীতির বার্তা।। এরকম নজির রাজশাহীতে পূর্বে থাকলেও এবছর জেলার প্রতিটি উপজেলায় ব্যাপকভাবে কাজ করছে তরুণ ছাত্র নেতারা। তরুণ ছাত্র নেতা শাহিন হোসেন রাজিব বলেন:- "আমাদের দেশে আগে দ্বন্দ্ব এবং সংঘাত ছিল না কিন্তু এখন তা বেড়ে গেছে, সমাজের এই বিকাশমান ধারাকে বজায় রাখতে সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই তাই আমাদের অর্থাৎ তরুণ ছাত্র নেতারাদের এই ছোট্ট প্রয়াস, পূর্বে দু/এক উপজেলায় করলেও এ বছরের রাজশাহীর প্রতিটি উপজেলায় আমরা কাজ করছি এবং আমরা মনে করি এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও মানুষ সচেতন হবে।" জাতি, ধর্ম,বর্ণ,গোত্র, ভাষা, লিঙ্গ, বিশ্বাস ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে মানুষের সাথে মানুষের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তাই সম্প্রীতি। সম্প্রীতির একটি বড় অংশ সামাজিক সম্প্রীতি। এই সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ইউথ অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ বদ্ধপরিকর বলে জানান। নাসিম উদ্দিন। বাঘা রাজশাহী