স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রায় সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি এবং আসাদুল্লাহ হিল গালিবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণার পরই বিবাহিত, ড্রপ আউট,অছাত্র ও টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্যগঠিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন কমিটির নেতৃবৃন্দের একাংশ। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিবের কক্ষ ভাংচুর করেছে একাংশের নেতাকর্মীরা। এসময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে অবস্থান নিয়ে সদ্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমান কমিটির সহ -সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, ইন্টার পাশ ছেলেকে রাবির নেতৃত্ব দিবে আমরা তা মানি না। যে ছেলেটা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করছে তাকে আমরা রাবির ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মেনে নিতে পারি না।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন বিবাহিত ছেলে ছাত্রলীগের নেতা হতে পারে না অথচ তার সকল তথ্য প্রমাণ থাকা সত্বেও তাকে কেমনে রাবি শাখার ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই নেতৃত্ব মানব না।বিতর্কমুক্ত কমিটি ঘোষনা করতে হবে অন্যথায় তাদেরকে ক্যাম্পাসে ডুকতে দিব না। বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার আগে পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও পদ পাননি কাজি লিংকন। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন,নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত,সে কেমন করে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসে। ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে সে নিস্ক্রিয় অথচ সে রাবি ছাত্রলীগের দায়িত্ব পেয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আমরা যোগ্য সম্মান পেলাম না। আমরা এই কমিটি মানি না।
অবস্থান কর্মসূচিত ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন,তাওহিদুল ইসলাম দুর্জয়,যুগ্ন -সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, এছাড়া সাবেক সহ-সভাপতি কাজি আমিনুল হক লিংকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকিসহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। প্রায় সপ্তাহ না যেতেই আরেক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় কমিটি। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার শেষ সময়। শীর্ষ দুই পদের জন্য ৯৪ জন প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। যার মধ্যে সভাপতি পদে ২২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৭২ জন সিভি জমা দেন। এর আগে ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বরের ২৫তম সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে গোলাম কিবরিয়া সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।